উল্লেখ্য, এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর সাত মাসের পলানীস্বামী ও পনিরসিলভমের শিবিরের বিচ্ছেদের অবসান হয়। সমঝোতা সূত্র হিসেবে, সরকারে মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীর সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন পনীরসিলভম। দলে অবশ্য পনীরের সহকারী হলেন পলানী।
কিন্তু এই নাটকীয় মিলনের পর গতকালই মাঝরাতে নীরবতা ভাঙেন দিনকরণ। একাধিক ট্যুইটের মাধ্যমে জেলবন্দী জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী শশীকলার ভাইপো পনীর ও পলানী শিবিরের মধ্যে বন্দোবস্ত কতদিন স্থায়ী হবে সেই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এটা মিলন নয়। এটা আসলে ব্যবসায়িক চুক্তি। নিজেদের পদ বজায় রাখতে লালায়িতদের নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্যই এই চুক্তি।
দিনকরন দাবি করেন, দলের সমর্থকরা এই মিলন মানে না।
এদিন দিনকরণের অনুগামী বিধায়কদের যে দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছে, তাঁদের মধ্যে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধায়ক বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী পলানীর প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। পনীরকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রয়োজন কী ছিল? এই পনীরই তো এর আগে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় আস্থা ভোটে শশীকলার পক্ষ থেকে ১২২ জন এআইএডিএমকে বিধায়ক পলানীর সমর্থনে ভোট দিয়েছিলেন। পনীর শিবির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। তাই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মিলনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।
তাঁরা পলানীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৩৪ সদস্যের তামিলনাড়ু বিধানসভায় স্পিকারকে বাদ দিয়ে এআইএডিএমের বিধায়ক সংখ্যা ১৩৪। বিরোধী ডিএমকের ৮৯, জোটসঙ্গী কংগ্রেসের আট এবং আইইউএমএলের ১ টি আসন রয়েছে।
গতকাল দুই শিবিরের মিলনের পর পনীর ঘনিষ্ঠ এআইএডিএমকে রাজ্যসভা সদস্য আর ভেইথলিঙ্গম জানিয়েছিলেন যে, শশীকলাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর পাল্টা হিসেবে দিনকরন এদিন ভেইথলিঙ্গমকে দল থেকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন।