জম্মু: শান্তির দূত। কিন্তু তার মাধ্যমেই ভারতে অশান্তি ছড়ানোর ছক? দিনকয়েক আগে কাশ্মীরগামী একটি ট্রাক থেকে বেশ কিছু বাক্সে ভর্তি দেড়শোর বেশি পায়রা উদ্ধার হওয়ার পর এমনই প্রশ্ন উঠছে।

বাক্সে ভরে পঞ্জাব সীমান্ত থেকে ১৫৩টি পায়রা গোপনে পাচার করা হচ্ছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। পুলিশের সন্দেহ, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাক গুপ্তচর সংস্থাগুলির কাছে ওই পায়রাগুলির মাধ্যমেই বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি-তথ্য পাচার করার প্ল্যান ছিল। এ ব্যাপারে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের ফৌজদারি অপরাধ তদন্ত শাখা (সিআইডি)-কে।

জম্মু পুলিশের এসএসপি সুনীল গুপ্তা বলেছেন, দিনকয়েক আগে কাশ্মীরগামী গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাক্স থেকে উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ পায়রার ডানায় গোলাপী দাগ ছিল। রহস্যজনক ভাবে কয়েকটির গায়ে পরানো ছিল নানা রকমের ম্যাগনেটিক রিংও। তারপরই সিআইডি-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। পাশাপাশি পশু নির্যাতন রোধ আইনে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। চোরাই পায়রা নিয়ে আসায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। জরিমানা দিয়ে সে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।

জম্মু পুলিশের ডিসি সিমরণদীপ সিংহ বলেন, পায়রাগুলিকে বাক্সের ভিতরে ঠাসাঠাসি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সীমান্তের ওপারে গোপন বার্তা পাঠাতে ওগুলিকে ব্যবহার করা হতে পারত বলে বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কেন পায়রাগুলির গায়ে বিশেষ একটি রং ছিল, সেগুলি কি কোনও সাংকেতিক চিহ্ন, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে সিআইডি-কে। আপাতত পায়রাগুলিকে সেভ অ্যানিম্যালস ভ্যালু এনভায়রনমেন্ট (সেভ) নামে একটি এনজিও-কে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই ছাড়া পেতে পারে ওরা।

প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদীরা জম্মু-কাশ্মীরে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান, ভবনগুলির ওপর একেবারে অপ্রচলিত, ছকভাঙা কায়দায় হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। সেজন্যও একসঙ্গে এত পায়রা নিয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।