নয়াদিল্লি: গুজরাত ভোটের ঠিক আগে দলকে চরম বেকায়দায় ফেললেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের অন্যতম পরিচিত মুখ শেহজাদ পুনাওয়ালা। তাঁর অভিযোগ, জোচ্চুরি করে দলের সভাপতি করা হচ্ছে রাহুল গাঁধীকে।


দলের রাজ্য সচিব পুনাওয়ালার দাবি, রাহুল আগে তাঁর কংগ্রেস সহ সভাপতির কুর্সি ছাড়ুন। এতেই থেমে না থেকে তিনি বলেছেন, যদি ভোট ঠিকমত হয় তাহলে তিনিও লড়বেন সভাপতি পদের জন্য। এ নিয়ে নাকি রাহুলকে চিঠিও লিখেছেন তিনি।

পুনাওয়ালা বলেছেন, জাল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তিনি যোগ দিতে চান না। প্রক্রিয়া সঠিক হলে তিনিও ভোটে দাঁড়াবেন। কিন্তু এই ভোটে জোচ্চুরি হচ্ছে.. এতে আগেই কাউকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ভোটে যোগ দেবেন তাঁরা কেউ সাংবিধানিক নিয়ম মেনে নির্বাচিত হননি। তাঁদেরও বেছে নেওয়া হয়েছে।

তাঁর বক্তব্য, সহ সভাপতি হিসেবে সভাপতির দৌড়ে রাহুল অন্যায় সুবিধে পাচ্ছেন, তাই তাঁকে আগে সহ সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। সহ সভাপতি পদেও তাঁর নির্বাচন হয়নি, বরং কুর্সিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি পদ ছাড়ুন, পুনাওয়ালাও তাঁর পদ ছাড়বেন, তারপর হোক ভোট। তবে সেই নির্বাচনে যাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তাঁদেরও ভোটে জিতেই আসতে হবে। দাবি শেহজাদ পুনাওয়ালার।

শেহজাদ পুনাওয়ালা

এখানেই থামেননি শেহজাদ। তাঁর আরও দাবি, রাহুল টেলিভিশনে সর্বসমক্ষে বিতর্কে যোগ দিন তাঁর সঙ্গে, কংগ্রেস সম্পর্কে তাঁর ভাবনাচিন্তা বলুন। পদবি দিয়ে নয়, কথার ওজন দেখে নির্বাচকরা বেছে নিন যোগ্যতরকে। কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের কথা তুলে তাঁর দাবি, দলে নিয়ম করতে হবে, যাতে এক পরিবার একটাই ভোটের টিকিট পায়।

টুইটারে অত্যন্ত সক্রিয় পুনাওয়ালা রাহুলকে যে চিঠি লিখেছেন তাতেও বিস্ফোরণের উপাদান যথেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০০৮-০৯-এ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকে অর্থ, সময় সব কিছু নিজের ইচ্ছেয় দলকে দিয়েছেন তিনি। বদলে সবে গত বছর পেয়েছেন রাজ্য সচিবের পদ। রাহুল তাঁর পদবির ওজন সরিয়ে বলুন, ২০০৪-এ প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পর থেকে এই একই সময়সীমায় তিনি ঠিক কী কী করেছেন দলের জন্য। ২০০৭-এ দলের সাধারণ সচিব হয়েছেন, তারপরই হয়েছেন সহ সভাপতি, সভানেত্রীর পদে তাঁর নিজের মা!

পুনাওয়ালার প্রশ্ন, আপনি কি আমাদের ভোটে জিতিয়েছেন, সঠিকভাবে এই সব পদে নির্বাচিত হয়েছেন, অন্য নেতাদের থেকে আপনি কি বেশি ভাল বক্তৃতা দেন? আপনার উচিত, সহ সভাপতির পদ ছেড়ে দলের সাধারণ সদস্য হিসেবে সভাপতি পদের জন্য ভোটে দাঁড়ানো। যদি কোনও সাধারণ দলীয় কর্মীকে খোদ সহ সভাপতির বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে হয়, তাহলে সেই ভোট কী করে অবাধ ও স্বচ্ছ হতে পারে? প্রশ্ন শেহজাদের।