ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে ৫ কৃষকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা রাজ্যে। কার্ফু জারি করে গতকালের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার দাবি প্রশাসন করলেও আজ নতুন করে উত্তাপ ছড়াল। আন্দোলনকারীদের বোঝাতে গিয়ে নিগৃহীত হলেন জেলাশাসক। কোনওক্রমে এলাকা ছাড়েন জেলাশাসক। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী।

গুলিচালনার প্রতিবাদে আজ বরখেড়াপন্ত গ্রামে কৃষকরা পথ অবরোধ করেন। এই ঘটনা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আজ রাজ্যে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে বনধ চলছে। বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় মান্দসৌর, রতলাম, নিমাচ এলাকায় মোবাইল সংযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এদিকে, আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান হিংসা ছড়ানোর দায় চাপিয়েছেন বিরোধীদের ওপর। গোটা ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মৃতদের পরিবার পিছু এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। আহতদের ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও শিবরাজ জানিয়েছেন।
ফসলের ন্যায্যমূল্য ও ঋণ মকুবের দাবিতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে কৃষক বিক্ষোভ চলছে। তাদের কাছ থেকে কেনা দুধের বাড়তি দামও চাইছে চাষিরা।
আন্দোলন তীব্র চেহারা নিতেই গতকাল মন্দসৌরে চাষিদের ওপর পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই এলাকায় কার্ফু জারি করে প্রশাসন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের উত্তেজিত করে তোলার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। যদিও কংগ্রেস এই ঘটনাকে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই উল্লেখ করেছে। মান্দসৌর ঘটনার তদন্তের জন্য দলীয় বিধায়কদের একটি প্যানেল গঠন করেছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছিলেন যে, কৃষকরা তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি বিজেপি-পন্থী ভারতীয় কিষাণ সংঘ (বিকেএস)-এর সঙ্গে গত রবিবার ও সোমবার দু দফা আলোচনা করেন। কিন্তু তারপরও আন্দোলনের চেহারা দেখে অনুমান, বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ওপর বিকেএস-এর প্রভাব খুব একটা ছিল না।