ধর্মশালা : মাত্র ৩ দিন আগে গিয়েছিলেন দিয়েছিলেন কাশ্মীরে, বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন ৩ বছরের ছেলে, মা, বাবা আর দাদাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর বাড়িতে এল তাঁর মৃত্যুসংবাদ।

হিমাচল প্রদেশের কাংড়ার জাওয়ালি জেলায় থাকতেন ৩০ বছরের তিলক রাজ। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় যে সিআরপিএফ সেনা জওয়ানেদের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়, সেই বাসেই ছিলেন তিনি। আত্মঘাতী এই জঙ্গি হামলায় মারা যান প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ সেনা জওয়ান। বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি ধাক্কা মারে সিআরপিএফ কনভয়ে। ৩৮ জন গুরুতর ভাবে আহত হন।

তিলক রাজের বাবা রামা রাম ও মা বিমলা দেবী বলেন, ছেলের জন্য তারা গর্বিত, কারণ তিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাঁর বাবা আরও বলেন, পাকিস্থানের উপযুক্ত শাস্তি পাওয়া উচিত যাতে এমন আক্রমণ আর কোনোদিন করার সাহস না হয়।

আঘাত লাগার পর সেনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিলক রাজ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।পরিবার এখন শোকস্তব্ধ হয়ে অপেক্ষা করছে তাঁর কফিনবন্দি দেহ বাড়ি ফেরার।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঠানকোট বিমানবন্দরে পৌঁছবে তিলক রাজের মরদেহ। সেখানে উপস্থিত থাকবেন খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী কৃষ্ণ কপুর,  সন্দীপ কুমার ও পুলিশ সুপার সন্তোষ পাটিয়াল। তিলক রাজের পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার ছেলে বড় হয়ে গেলে তাকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে।

শহিদ পরিবারগুলির জন্য ২0 লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিলক রাজের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আশ্বাস দিয়ে বলেন, সমস্ত দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে। রাজ্য মন্ত্রী কৃষ্ণ কপুর, ও বিচারক অর্জুন সিংহ মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং অবিলম্বে সাহায্যের জন্য ৫ লাখ করে টাকা দেন।

কংগ্রেস এবং বিজেপি মৃতদের পরিবারের সাহায্যের জন্য নগদ ক্ষতিপূরণ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।