নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত ডিগ্রি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে দেওয়ার জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে এ ব্যাপারে নথিপত্র ঘেঁটে খুঁজে বের করতে সুবিধা হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ডিগ্রির নির্দিষ্ট নম্বর, বছর-এসব তাদের পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচারইয়ুলু।
প্রসঙ্গত, জনৈক হনস রাজ জৈন ১৯৭৮ সালে পাস করা এন (নরেন্দ্র ) ও এম (মোদী)  দিয়ে   নাম শুরু হওয়া পড়ুয়াদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন তথ্য জানার অধিকার আইনে। কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার রোল নম্বর ছাড়া তাদের পক্ষে লাখ লাখ বাইরের পড়ুয়াদের মধ্য থেকে তাঁর ডিগ্রি সংক্রান্ত কাগজপত্র খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।
এর আগে কেজরীবাল আচারইয়ুলুকে চিঠি লিখে দাবি করেছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে পেশ হওয়া আবেদন মেনে তিনি নিজের সম্পর্কে সব কিছু জানাতে তৈরি, তাহলে তথ্য কমিশনকেও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এ ব্যাপারে গতকাল কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটে আচারইয়ুলু তাঁর নির্দেশে বলেছেন, শিক্ষাগত (ডিগ্রি-নির্ভর) যোগ্যতা থাকাটা ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হয়নি। এটা আমাদের গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা একজন নাগরিক যখন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জানতে চান, তখন সেটা প্রকাশ করাই উচিত।
তিনি লিখেছেন, ১৯৭৮ সালে (দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক) ও ১৯৮৩ সালে (গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট) হওয়া নরেন্দ্র দামোদর মোদীর ডিগ্রি  সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যত দূর সম্ভব খুঁজে দেখার জন্য দিল্লি ও গুজরাত, দুই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হল।