নয়াদিল্লি: ১৯৮৮ সালে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বচসার সময় গুরনাম সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ক্রিকেটার নভজ্যোত সিংহ সিধুর বিরুদ্ধে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় গুরনামের। তিন দশকের পুরনো এই মামলায় প্রথমে নিম্ন আদালত রেহাই দিলেও, এখন পঞ্জাবের পর্যটনমন্ত্রী সিধুর তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। সেই সাজা বহাল রাখার পক্ষেই সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করল পঞ্জাব সরকার। ফলে বিপাকে পড়ে গেলেন সিধু।


আজ বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউলের বেঞ্চে শুনানির সময় পঞ্জাব সরকারের আইনজীবী সনরাম সিংহ সারন বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, গুরনাম সিংহের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে নয়, হৃদরোগের কারণেই মৃত্যু হয়। এই রায় ভুল ছিল। হাইকোর্ট সেই রায় বদলে দিয়ে ঠিকই করেছে। সিধুই প্রথমে গুরনামকে মারেন। এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুই সাক্ষী জসবিন্দর সিংহ ও অবতার সিংহ গুরনামকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু নিম্ন আদালত হাসপাতালে তাঁদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কারণ, তাঁরা সিধুকে চিহ্নিত করলেও, এই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত রুপিন্দর সিংহ সান্ধুর নাম করেননি। যদিও চিকিৎসকরা বলেন, মাথায় আঘাতের ফলেই গুরনামের মৃত্যু হয়। তারপরেও কীভাবে নিম্ন আদালত বলল তাঁর হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’