নয়াদিল্লি: দুটি মামলায় অভিযুক্ত, এরমধ্যে একটি পণের জন্যে অত্যাচার সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে স্বঘোষিত গডওম্যান রাধে মার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই মহিলাই যখন দিল্লিতে থানায় গেলেন, সেখানে গিয়ে পেলেন ভিআইপি আদর। এমনকি তাঁকে সম্মান জানাতে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন দিল্লির বিবেক বিহার থানার স্টেশন হাউস অফিসারও। এখানেই শেষ নয়। রাধে মাকে সম্মান জানাতে স্বঘোষিত বিতর্কিত গডওম্যানের ওরনা খুলে নিজের মাথায় বেঁধে ফেলেন ওই পুলিশ অফিসার।

দুটি মামলায় অভিযুক্ত বিতর্কিত ধর্মগুরুকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান পূর্ব দিল্লি থানার পুলিশকর্মীরা। সেখানেই থানার এসএইচওকে হাতজোর করে রাধে মার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আর তাঁর চেয়ারেই বহাল তবিয়তে বসে ছিলেন ধর্মগুরু। শুধু অভ্যর্থনা নয়, মাকে খুশি করতে থানায় ভজনও গান পুলিশকর্মীরা।





সূত্রের খবর, রাত প্রায় একটা নাগাদ থানায় গিয়েছিলেন ধর্মগুরু। সেখানেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর আলোচনা করার কথা ছিল।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিসিপি। ওই এসএইচওকে জেলা লাইনে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতমাসেই এই রাধে মা আদালতে আর্জি জানান, একটি পণ সংক্রান্ত মামলা থেকে তাঁর নাম সরিয়ে নেওয়ার জন্যে। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।

৪৮ বছর বয়সি রাধে মার জন্ম পঞ্জাবের গুরদাসপুরে। তখন তাঁর নাম ছিল সুখবিন্দর কউর। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন রাধে মা। তারপর সতেরো বছর বয়সে বিয়ে।স্বামীকে সাহায্য করতে প্রথমে রাধে মা জামা সেলাই করতেন। পরে স্বামী কাতারে চলে গেলে, হোসিয়ারপুর জেলার মহান্ত রাম দিন দাসের ভক্ত হয়ে যান সুখবিন্দর। তিনিই তাঁর নতুন নামকরণ করেন রাধে মা। তন্ত্র সাধনায় প্রবেশ ঘটে রাধে মার। এরপর মুম্বই চলে আসেন বিতর্কিত ধর্মগুরু। বহু ধনী ভক্ত রয়েছে তাঁর।