নয়াদিল্লি: মার্কিন গবেষণা সংস্থা ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে বিকিরণের ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে এবার উদ্বিগ্ন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
সম্প্রতি এই নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে যে বিকিরণ হয়, তাতে মানুষের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক, রোগীদের। এপ্রসঙ্গে ২০১৩ সালের ২১ অগাস্ট জারি হওয়া একটি সরকারি নির্দেশিকার কথাও উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে কোনও জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে স্কুল ও হাসপাতালের ৫০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনের টাওয়ার না বসানো হয়।
অভিযোগকারীর দাবি, এই সরকারি নির্দেশিকা যথাযথ নয়। কারণ, এখানে শুধু স্কুল ও হাসপাতালের কথা বলা হয়েছে। বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়নি। আর সেই সুযোগ নিয়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে যথেচ্ছভাবে মোবাইল টাওয়ার বসানো হচ্ছে। আর টাওয়ারের বিকিরণে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দু’সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে কেন্দ্রীয় টেলিকম এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জবাব তলব করে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এই অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার এবং বেঁচে থাকার অধিকার বিপদের মুখে।
মোবাইল ফোন বা টাওয়ারের বিকিরণ যে মানবশরীরে পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে আগেও বহু চর্চা হয়েছে। যদিও, পরিস্থিতিতে কোনও বদল আসেনি। সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষণা সংস্থার তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলা, কোনও ব্যক্তিকে মারণ ক্যানসারের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এই প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগ এই সমস্যা সমাধানের কোনও রাস্তা দেখাতে পারে কিনা, সেদিকেই নজর সকলের।
মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকারক বিকিরণ: উদ্বিগ্ন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
03 Jun 2016 02:50 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -