নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় দফায় ভারতে আসতে চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান। ওই বিমানগুলি ভারতের আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বায়ুসেনা। প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে বায়ুসেনার সাজসর্জাম সংক্রান্ত বিষয়টি দেখতে ও সেখানকার বায়ুসেনা কেন্দ্রে বাছাই করা পাইলটদের প্রশিক্ষণের সমীক্ষার জন্য আধিকারিকদের একটি দলকে ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই রাফাল যুদ্ধবিমানের দ্বিতীয় সম্ভার ভারতে পৌঁছতে পারে।
পাঁচ রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম সম্ভার গত ২৯ জুলাই ভারতে পৌঁছেছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই বিমানগুলি ভারতের বায়ুসেনার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। চার বছর আগে ভারত ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চুক্তি করেছিল।
বায়ুসেনা প্রধান এস ভদৌরিয়া গত ৫ অক্টোবর বলেছিলেন যে, ২০২৩ সালের মধ্যে ৩৬ টি বিমানই বায়ুসেনার অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
রাফাল যুদ্ধবিমানে রয়েছে অত্যাধুনিক হাতিয়ার ও ক্ষেপণাস্ত্র। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মেটেওর মিসাইল। এই মিসাইল এশিয়ার কোনও দেশ তো দূরের কথা, চিনেরও নেই।
রাফাল যুদ্ধবিমান ৪.৫ জেনারেশন মোড ওমনি-পোটেন্ট রোল এয়ারক্র্যাফ্ট। মাল্টিরোল হওযার কারণে জোড়া ইঞ্জিনের রাফাল যুদ্ধবিমান এয়ার সুপ্রিমেসি অর্থাৎ আকাশে দাপট বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে শত্রুপক্ষের সীমায় ঢুকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। অর্থাৎ, আকাশে রাফাল উড়তে থাকলে কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুপক্ষের কোনও বিমান, হেলিকপ্টার বা ড্রোন ধারেকাছে আসতে পারবে না। সেইসঙ্গে শত্রুপক্ষের সীমায় ঢুকে বোমাবর্যণ করে ঘায়েল করতে পারে। এ জন্যই রাফালকে মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান বলা হয়।