কংগ্রেস সভাপতি ট্যুইটও করেন, গুরু চেয়েছিলেন বলে আঙুল কেটে তাঁকে দিয়েছিলেন একলব্য। আর বিজেপিতে নিজেদের গুরুদেরই ছেঁটে ফেলা হয়। আডবাণীজী, বাজপেয়ীজী, যশবন্ত সিংজীকে ছোট করাই প্রধানমন্ত্রীর ভারতীয় সংস্কৃতি রক্ষার পথ। রাহুল একটি অনুষ্ঠানের ভিডিওও জুড়ে দেন যাতে নাকি দেখানো হয়েছে, মোদী আডবাণীর দিকে ফিরেও দেখছেন না।
রাহুল বলেন, সবাই জানেন, মোদীর গুরু, পথপ্রদর্শক কে-এল কে আডবাণী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানেও তাঁকে সম্মান করেন না। আমিই প্রটোকল মেনে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সবসময় আডবাণীজীর পাশে থাকি। আজ আডবাণীজীর জন্য খুব দুঃখ হয় আমার। কংগ্রেস মোদীজীর চেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে ওনাকে। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে তাঁর দল আডবাণীকে সংসদীয় নির্বাচনে হারিয়েছে বলে উল্লেখ করে রাহুল বলেন, কিন্তু কংগ্রেস ও তার আদর্শই হল তাঁকে শ্রদ্ধা করা। বাজপেয়ীরও দেশের প্রতি অবদান আছে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র অনিল বালুনি বলেন, দেশের সবচেয়ে পুরানো রাজনৈতিক দলের সভাপতি এমন অধঃপতন দেখে হতবাক হতে হয়। এটা স্পষ্ট, ওনার ভারতীয় মূল্যবোধের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই, তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেই চলেছেন।
বালুনি পাল্টা আরএসএসের সভায় যাওয়ায় কংগ্রেস নেতারা কী ভাবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমালোচনায় বিঁধেছেন, তার উল্লেখ করেন। বলেন, দেশবাসী দেখলেন, কংগ্রেস তার অন্যতম প্রবীণ নেতার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করল। কংগ্র্রেসের বিরুদ্ধে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগের উল্লেখ করেন তিনি, বলেন, কংগ্রেস নেতারা একবার দলীয় সভাপতি সীতারাম কেশরীর জামাকাপড় ছিঁড়ে, তাঁকে দপ্তর থেকে বের করে দিয়েছিলেন। সুতরাং রাহুল যেন রাজনৈতিক মূল্যবোধের জ্ঞান না দেন!