প্রসঙ্গত, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিতে তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা বারবার গলা ফাটাচ্ছেন। আবার এই মোদী সরকারই সেনাকর্মীদের এতদিন ধরে পেয়ে আসা নানা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ। এরই মাঝে আবার সেনা-জওয়ানদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে নয়া অ্যাপ চালু করেছেন মোদী। এই প্রেক্ষাপটে দেওয়ালির ঠিক আগে তাঁকে নিশানা করে রাহুল চিঠিতে দাবি করেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জওয়ানদের আশ্বস্ত করা দূরে থাক, বরং তাঁদের যন্ত্রণা বাড়িয়েছে। সেনাকর্মীদের মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সেনা জওয়ানরা প্রতিদিন নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশকে রক্ষা করেন। সেনা ও তাঁদের পরিবারকে দেখা আমাদের কর্তব্য। শুধু কথায় হবে না। কাজে করে দেখাতে হবে। কংগ্রেস সহ সভাপতির দাবি, সরকারকে ‘এক পদ এক পেনশন’ সঠিক ভাবে কার্যকর করতে হবে। সেনাদের যা প্রাপ্য, তা পেতে যেন তাঁদের সমস্যা না হয়, সেটাও দেখতে হবে।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক নির্দেশিকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদর দফতরের সিভিলিয়ান অফিসারের তুলনায় সেনা আধিকারিকদের পদমর্যাদা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি যে সেনা জওয়ান বা আধিকারিকদের লড়াইয়ে গুরুতর আঘাত বা অঙ্গহানির কারণে সেনাবাহিনী ছাড়তে হয়, তাদের পেনশনও এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে চিঠিতে রাহুলের দাবি, ‘এক পদ এক পেনশন’ হোক অথবা লড়াইয়ের ময়দানে জখম হয়ে যাওয়া জওয়ানদের পেনশন কিংবা সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সেনা কর্মীদের পদমর্যাদায় সমতা আনা-- সব ক’টি বিষয়েই সেনা যেন তাদের প্রাপ্যটা পায়, তা প্রধানমন্ত্রীর নিশ্চিত করা উচিত।
প্রসঙ্গত, মোদী এর আগে কংগ্রেসকে দায়ী করে বলেছেন, ওদের যে এক পদ, এক পেনশন কার্যকর করতে সদিচ্ছা নেই, তার প্রমাণ, এর পিছনে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা ওরা বরাদ্দ করেছিল। এদিন তাঁকে পাল্টা টার্গেট করলেন রাহুল।
মোদীকে রাহুলের খোঁচা, দেওয়ালিতে আমরা অন্ধকার সরিয়ে আলোর উৎসবে মাতি। এই সময়ই সেনাদের কাছে বার্তা দেওয়ার, যে আমরা শুধু মুখে বলি না, কাজেও করে দেখাই।
তবে বিজেপিও পাল্টা রাহুলের আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়ে তাঁকে বলেছে, সংকীর্ণ ফায়দা তোলার জন্য সেনাবাহিনীকে নিয়ে তিনি যেন ‘ক্ষুদ্র রাজনীতি’ না করেন। রাহুলকে জবাব দিতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।