মাইক্রো ব্লগিং সাইটে তিনি লেখেন, দিদিমা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দিনকয়েকের জন্য ইতালি যাচ্ছি। তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় কাটনোর জন্য মুখিয়ে আছি।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষদিকেও বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন রাহুল। টুইটারে সকলকে নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন।
[embed]https://twitter.com/OfficeOfRG/status/874554135982428160[/embed]
এদিকে নিজেদের শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে কৃষক আন্দোলনের ধাক্কায় ক্ষমতাসীন বিজেপি যখন অস্বস্তিতে পড়েছে, সে সময় রাহুলের বিদেশযাত্রা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিজেপি পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না রাহুলকে। দলের মুখপাত্র জিভিএল নরসিমারাও বলেছেন, রাহুল গাঁধী বিদেশে ছুটি কাটানোর ফাঁকে ভারতে আসেন। রাহুলের সফর ঘিরে গোপনীয়তার পর্দা চাপিয়ে রাখা হয়। এতে দেশবাসীর মনে মাথাচাড়া দেয় প্রশ্ন, সংশয়। তবে এটা স্পষ্ট, মন্দশৌরের পরিস্থিতি নিয়ে আদৌ কোনও মাথাব্যাথা নেই কংগ্রেসের।
আরেক বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় আবার কটাক্ষ করেন, আমরাও ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে নৈনিতাল বেড়াতে যেতাম। রাহুল গাঁধীর কাছে দেশের কৃষকদের জন্য উদ্বেগের আশা না করাই শ্রেয়। কারণ উনি রাজনীতি করেন পিকনিক করার মানসিকতা নিয়ে!
বিজেপির আক্রমণের বাণ থেকে রাহুলকে বাঁচাতে আসরে নামেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, রাহুল গাঁধীর বিদেশযাত্রা নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করছেন যাঁরা, তাঁদের নিন্দা করছি। উনি দিদিমার শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গিয়েছেন। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি, রীতির মধ্যেই পড়ে।