উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মুজফ্ফরনগর শহরের কাছে একটি সরকারি স্কুলের বাইরে দ্রুত গতিতে আসা একটি বোলেরো এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় নয়জন শিশুর মৃত্যু হয়। জখম হয় ২০ জন। মিনাপুর থানা এলাকার ধরমপুর মিডল স্কুলের পড়ুয়ারা যখন বাড়ি ফিরছিল তখন ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
যে গাড়িটির চাকায় নয় শিশু পিষ্ট হয়ে মারা যায় সেই গাড়ির মালিক এক বিজেপি নেতার বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নীতিশ কুমার এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দোষী গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে বলেছেন, 'মদমুক্ত বিহারে এক বিজেপি নেতা মত্ত অবস্থায় নয় শিশুকে মেরে ফেললেন। এটাই কি আপনার নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত সত্যি? আপনার অন্তরাত্মার আওয়াজ কাকে আড়াল করছে-অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে বা বিহারে মদে নিষেধাজ্ঞার আসল ছবিকে?'
বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী প্রসাদও রাহুল গাঁধীর সুরেই নীতিশকে আক্রমণ করেছেন। তিনিও অভিযুক্তকে আড়ালের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন।
যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী জানিয়েছেন, পুলিশকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না।
আরজেডি নেতা তেজস্বী বলেছেন, রাজ্যে মদে নিষেধাজ্ঞা যে প্রহসন তা এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল। এদিন মিছিল করে গিয়ে রাজভবনে স্মারকলিপিও জমা দেন তেজস্বী। তিনি বলেছেন, অভিযুক্তের পরিচয় জানা গিয়েছে। এক ব্যক্তির নাম করে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তারপরও কেউ গ্রেফতার হয়নি। রাজনৈতিক মদতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তেজস্বী।