অবনীর মৃত্যুতে হাফ ছেড়ে সেখানকার বাসিন্দারা আনন্দ, উল্লাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিলি করে বলেও শোনা গিয়েছে।
শুধু রাহুলই নন, কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গাঁধীও মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারকে অবনীর নৃশংস হত্যার জন্য দায়ী করে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীদের চোরাপথে অস্ত্র সরবরাহ করায় জেল হওয়া এক বন্দুকবাজকে ওই বাঘিনীকে মেরে ফেলতে লাগানো হয়েছিল। মানেকা জানিয়েছেন, তিনি এর নিন্দায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশকে চিঠি লিখে কঠোর ব্যবস্থার দাবি করবেন ও আইনি, ফৌজদারি, রাজনৈতিক স্তরেও বিষয়টি তুলবেন। পাশাপাশি বাঘিনীটিকে না মেরে ফেলে কেন জীবন্ত ধরা হয়নি, জানতে চেয়ে অনলাইন পিটিশনও পেশ হয়েছে।
২০১৬-র অক্টোবরেও উত্তর ভারতে এক মানুষখেকো বাঘকে গুলি করে মারে বনরক্ষীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-র বাঘ সুমারি অনুসারে বিশ্বের সামগ্রিক ব্যাঘ্রকূলের অর্ধেকেরও বেশির বাস ভারতে তাদের জন্য সংরক্ষিত নানা জায়গায়। প্রতি বছরই তাদের বেশ কিছুকে চোরাশিকারীদের লোভের বলি হতে হয়। তার পাশাপাশি বাঘে, মানুষে সংঘাতও চলে। বন্যপ্রাণী সুরক্ষাকর্মীদের মত, মানুষ বাঘের এলাকায় ঢুকছে বলেই এই লড়াই।