নয়াদিল্লি: ক্ষমতায় এসেই 'কালা ধন' দেশে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকা মোকাবিলার নামে নোট বাতিলের দাওয়াইও দিয়েছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সুইতজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সাফাই দিয়েছেন , যেসব তথ্য বেরিয়েছে, সবই আমাদের কাছে আসবে।কেউ এক্ষেত্রে বেআইনি কাজে জড়িত প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও বিরোধী দলগুলি এই তথ্য নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এ ব্যাপারে মোদীর অতীতের বিবৃতিগুলি স্মরণ করিয়ে খোঁচা দিয়েছেন।
রাহুলের ট্যুইট- "২০১৪-তে তিনি বলেছিলেন: সুইস ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত 'কালো' টাকা ফেরত এনে প্রত্যেক ভারতীয়র অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেব।
২০১৬-তে তিনি বলেছিলেন: নোট বাতিল ভারতের 'কালো' টাকার সমস্যার সমাধান করবে।
২০১৮-তে তিনি বলছেন: সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সবটাই 'সাদা' টাকা। সুইস ব্যাঙ্কে কোনও 'কালো' টাকা নেই।





কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল বলেছে, সরকার সুইস ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের নামের তালিকা কেন প্রকাশ করছে না? কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ট্যুইটে বলা হয়েছে, 'মোদীজী নোট বাতিল তো ব্যর্থ হল। আপনার সমস্ত প্রতিশ্রুতি ও দাবি চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রতিপন্ন হয়েছে। এখন তো বলুন আপনার নাকের নিচে এই কালো টাকা সুইস ব্যাঙ্কে কে জমা করেছে?'
উল্লেখ্য, ২০১৪-তে লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী কালো টাকা ও সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকা নিয়ে মনমোহন সিংহ সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে কালো টাকা ফেরত আনবেন।
সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। ২০১১-য় ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২ শতাংশ, ২০১৩-য় ৪৩ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-য় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ২০০৪-এ রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছিল— ৫৬ শতাংশ।