রাহুলের প্রকাশ করা দু মিনিটের ভিডিওতে ২০১৬-য় গুজরাতের উনায় দলিতদের বেত্রাঘাত, মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি চাকরির পরীক্ষায় বসা দলিত পরীক্ষার্থীদের গায়ে তফসিলি জাতি, উপজাতি বলে লিখে দেওয়া সহ একাধিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি-আরএসএসের মানসিকতাই দলিত-বিরোধী বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল। বলেছেন, বিজেপি ও আরএসএসের ফ্যাসিবাদী দর্শনের মূল কথাই হল, দলিত ও আদিবাসীদের সমাজের এক কোণেই পড়ে থাকতে হবে। এই উদ্বেগজনক ভিডিওতে এই মানসিকতার বিপদ এবং কীভাবে শীর্ষ আরএসএস, বিজেপি নেতারা খোলাখুলি তা প্রচার করছেন, সেটা তুলে ধরা হয়েছে।
দেশে ক্রমবর্ধমান দলিত নির্যাতনের ঘটনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'নীরবতা' নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সভাপতি।
জবাবে বৈদ্য বলেন, রাহুল গাঁধী নিজের সরকারি ফেসবুক পেজে আমার ও আরএসএস সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সম্পর্কে মিথ্যা কথা লিখেছেন যে, আমরা সংবিধানে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য সুরক্ষিত সংরক্ষণ তুলে দিতে চাই। এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন, অসত্য। কোনও সরকারি নির্দেশ বা সূত্রের উল্লেখও নেই এ ব্যাপারে।
হিন্দু সমাজে চলতি সামাজিক অসাম্যের কারণেই সংবিধানে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলেছেন বৈদ্য। বলেছেন, আরএসএসের সরকারি অবস্থান এটাই যে, সংরক্ষণ বহাল থাকা উচিত এবং সঙ্ঘ তার অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় বারবার প্রস্তাব পাশ করে সেটা প্রমাণও করেছে। সমাজে অসাম্য ঘুচিয়ে সম্প্রীতি গড়তে সঙ্ঘ দায়বদ্ধ। রাহুল গাঁধী, কংগ্রেসের নিম্ন মানের রাজনীতির কঠোর নিন্দা করছি।