এরপর মনমোহন সহ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দলীয় দফতরে যান রাহুল। সভাপতি পদে রাহুলের নামের অন্যতম প্রস্তাবক সনিয়া কিন্তু দলীয় দফতরে ছিলেন না।
দলীয় কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন বলেছেন, কংগ্রেসের 'ডার্লিং' রাহুল গাঁধী। তিনি বলেন, সনিয়া গাঁধী সভানেত্রী পদে ১৯ বছর দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কংগ্রেসের মাধ্যমে গত ১৯ বছর ধরে দেশের সেবা করেছেন সনিয়া। এবার সেই লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ। কংগ্রেস দলের মহান ঐতিহ্যকে এবার এগিয়ে নিয়ে যাবেন রাহুল।
এদিন সকাল ১১ টায় মনোনয়ন পেশ করেন ৪৭ বছরের রাহুল। মনোনয়ন পত্রে রাহুলের নাম প্রস্তাব করেন সনিয়া , মোতিলাল ভোরা, আহমেদ পটেল, মহসিনা কিদোয়াই, কমলনাথ, অশোক গেহলট, মুকুল ওয়াসনিক,শীলা দিক্ষীত, তরুণ গগৈ এবং পন্ডচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। দ্বিতীয় মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হিসেবে নাম রয়েছে, মনমোহন, অস্কার ফার্নান্ডেজ, পি চিদম্বরম, সুশীল কুমার সিন্ডে, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের প্রধান মুল্লাপল্লী রামচন্দ্রন জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত অন্য কোনও মনোনয়ন পত্র জমা পড়েনি।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, মনোনয়ন পেশের আগে রাহুল মনমোহন ও প্রণবের আশীর্বাদ নিয়েছেন।
কংগ্রেস জানিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনেই সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে গণতন্ত্র নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারিরও দাবি, দলীয় সংবিধান মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।
শুক্রবার থেকে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজই মনোনয়ন পেশ করার শেষ দিন।
২০১৩ সালে কংগ্রেস সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন রাহুল। এরপর থেকেই তাঁর দলীয় সভাপতি হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনা সত্যি হচ্ছে। কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল ছাড়া আর কারও মনোনয়ন পেশ করার সম্ভাবনা নেই। ১৯ তারিখ কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। সেদিনই সভাপতি হিসেবে রাহুলের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দলের হাল ধরছেন রাহুল। তিনি গুজরাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। সম্প্রতি একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হলেও, রাহুলের নেতৃত্বে দল ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস নেতারা।