নয়াদিল্লি: সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইয়েওই স্কুল অফ পাবলিক পলিসি-তে দর্শকদের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর আলাপচারিতা সংক্রান্ত দলের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে রাহুলকে প্রশ্নকারী এক লেখকের দাবি, ওই ভিডিওটি বিকৃত এবং সেটি সরিয়ে দেওয়া না হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। পাল্টা কংগ্রেস অধ্যাপক পিকে বসু নামে ওই লেখকের বিরুদ্ধেই মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।



পিকে বসু ইউপিএ জমানায় আর্থিক মন্দা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি রাহুলকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, 'কংগ্রেসের আমলে ভারতের মাথা পিছু আয় সবসময়ই বিশ্বের গড় মাথাপিছু আয়ের তুলনায় কম হয় এবং কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে সরলেই তা অনেকটাই বেড়ে যায় কেন?'
বসুর দাবি, রাহুল তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস এমন একটি বিকৃত ও কাটছাঁট করা ভিডিও পোস্ট করেছে যা দেখে মনে হচ্ছে যেন, রাহুল যথার্থভাবেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
বসু একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছেন, রাহুল তাঁর প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। তিনি বলেছেন, রাহুল তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। এই বিকৃত ভিডিও সম্প্রচার করতে থাকলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন বসু। তাঁর দাবি, কংগ্রেস যে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে তাতে রাহুলের উত্তরকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।



যে ভিডিওটি কংগ্রেস প্রকাশ করেছে তাকে বসুর প্রশ্নের পর দর্শকদের মধ্যে আরও একজনকে দেখানো হয়, যিনি কংগ্রেসের প্রশংসা করেছিলেন।
রাহুল তাঁদের উভয়কে যে উত্তর দেন তা হল, 'আপনারা দুজনেই একটু বেশি বেশি করে বলছেন। তিনি (বসু) বলছেন, সমস্ত সমস্যার জন্য আমি দায়ী। আর আপনি (দ্বিতীয় প্রশ্নকারী) বলছেন, আমি প্রতিটি সমস্যার সমাধানের কারণ। এটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে। আলাপচারিতা থেকে মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে। ওই ভদ্রলোক (বসু) মনে করছেন যে, কংগ্রেস কিছুই করেনি। আর দ্বিতীয় ভদ্রলোক বলছেন, সব কিছুই কংগ্রেস করেছে। আসলে সত্যিটা হল ভারতের সাফল্যের কারণ ভারতের জনতা। এখানে যদি কেউ থাকেন, যিনি মনে করেন যে, কংগ্রেস এই সাফল্যের অংশ নয়, তাহলে তাঁর নতুন বই লেখার প্রয়োজন'।
বসুর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই ভুল তথ্য তুলে ধরে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ এনেছেন। তাই বসুর বিরুদ্ধেই বরং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।