এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ, গত তিন বছর সবচেয়ে কম। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে এই হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৩ শতাংশে। কিন্তু গতকাল প্রকাশিত পূর্বাভাস অনুসারে ২০১৬-১৭ য় যেখানে জিডিপি বৃদ্ধির সামগ্রিক হার ছিল ৭.১ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-১৮ বর্ষে তা নেমে যেতে পারে ৬.৫ শতাংশে। ২০১৪-য় মোদীর এনডিএ কেন্দ্রে সরকার গড়ার বছরে এই হার ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। গতকাল প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কমিশনের পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে, গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (জিডিএ) গত বছর ছিল ৬.৬ শতাংশ, এবার কিছুটা কমে হতে পারে ৬.১ শতাংশ। জিডিপি কমে ৬.৫ শতাংশ? মোদীর 'গ্রস ডিভিসিভ পলিটিক্স', জেটলির 'প্রতিভা' মিলেই অর্থনীতির এমন হাল! ট্যুইট রাহুলের
Web Desk, ABP Ananda | 06 Jan 2018 02:49 PM (IST)
নয়াদিল্লি: গতকাল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রক প্রকাশিত ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের জিডিপি হারের পূর্বাভাসকে অস্ত্র করে নরেন্দ্র মোদী, অরুণ জেটলিকে খোঁচা রাহুল গাঁধীর। ২০১৭-১৮য় জিডিপি বৃদ্ধির হার গত ৪ বছরে সবচেয়ে কমে ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে আগাম জানানো হয়েছে। তারপরই ট্যুইট করে রাহুলের বিদ্রূপ, জেটলির 'প্রতিভা'র সঙ্গে মোদীর 'গ্রস ডিভিসিভ পলিটিক্স' অর্থাত্ সামগ্রিক বিভেদের রাজনীতি মিলেমিশেই অর্থনীতির এহেন দশা। ব্যাঙ্কের ঋণবৃদ্ধি ৬৩ বছরে সবচেয়ে কমেছে, কর্মসংস্থানও গত ৮ বছরে সবচেয়ে কম বলে ট্যুইটে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। নতুন বিনিয়োগও ১৩ বছরে সবচেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর্থিক ঘাটতি বেড়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পও আটকে রয়েছে, ট্যুইটে বলেছেন রাহুল। প্রসঙ্গত, গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচারে নোট বাতিল, জিএসটি নিয়ে লাগাতার বিজেপি, মোদীকে ট্যুইটে বিঁধেছেন রাহুল। জিএসটি-কে 'গব্বর সিং ট্যাক্স' তকমা দিয়েছেন। বলেছেন, নোট বাতিল জিএসটি হল 'দুটি টর্পেডো', যা বড় ধাক্কা দিয়েছে অর্থনীতিতে।