নয়াদিল্লি:   গত বছর পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে নারকীয় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল।  গত বছরের আজকের দিন এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনা নিয়ে এদিন  বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। শুক্রবার তিনি প্রশ্ন করেছেন, সিআরপিএফ কনভয়ে নিরাপত্তায় ত্রুটির জন্য কে দায়ী। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তের ফলাফল সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ।

রাহুলের ট্যুইট, ‘আজ পুলওয়ামা হামলার শিকার ৪০ শহিদ জওয়ানদের স্মরণ করছি। আমাদের প্রশ্ন ১. পুলওয়ামা হামলা থেকে কে বেশি লাভবান? ২.ওই হামলার তদন্তের ফলাফল কী? ৩. যে নিরাপত্তার গাফিলতিতে পুলওয়ামাকাণ্ড, তার জন্য বিজেপি সরকারের কাকে দায়ী করা হল?’



রাহুলের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। দল বলেছে, রাহুলের এই মন্তব্য দেশের জন্য যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, সেই শহিদদের প্রতি অপমানজনক। বিজেপি বলেছে, রাহুল গাঁধী বরাবরই লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি শুধু সরকারকেই নয়, নিরাপত্তা বাহিনীকেও নিশানা করেছেন।
বিজেপি বলেছে, ‘পুলওয়ামা হামলা থেকে কে বেশি লাভবান’, রাহুলের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বক্তব্যের জবাব দিতে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর তিনটে নাগাদ পুলওয়ামায় জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গি সিআরপিএফের কনভয়ে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হামলা চালায়। ৭৮ বাসের কনভয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরে প্রায় আড়াই হাজার সিআরপিএফ জওয়ান যাচ্ছিলেন। পুলওয়ামার শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে ওই ঘটনা ঘটে। এই হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান নিহত হন।

এই নারকীয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ এই হামলার প্রতিবাদে মুখর হয় এবং এই ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি গ্রহণের দাবি জানায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চক্রান্তকারীদের কঠোর সাজা দেওয়া হবে বলে জানান।

পুলওয়ামা হামলার কয়েকদিন পর ভারতীয় বায়ুসেনা গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের বায়ুসেনা পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ জঙ্গি শিবিরে একাধিক বিমান হামলা চালায়। এতে ‘বহু সংখ্যক’ জঙ্গির মৃত্যু ও তাদের পরিকাঠামো ধ্বংস হয়।