গুজরাত সফররত আদিত্যনাথ গতকালও কংগ্রেসকে ধ্বংসের প্রতীক বলে দাবি করেছিলেন। আজ তিনি ফের বলেছেন, ‘সম্প্রতি কংগ্রেসের যুবরাজ গুজরাতের উন্নয়ন নিয়ে আপনাদের মনে সংশয় তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। আমি তাই বাস্তব পরিস্থিতির বিষয়ে আপনাদের অবহিত করতে এসেছি। আজ যাঁরা গুজরাতের উন্নয়নের কথা বলছেন, তাঁরা গত ৭০ বছরে কোনওদিন দেশের উন্নয়নের কথা বলেননি। তাঁরা নিজেদের, পরিবারের ও কয়েকজন দালালের উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। কিন্তু তাতে দেশের কোনও উন্নতি হয়নি। তাঁরা যদি দেশের উন্নয়ন করতেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কেন আমদাবাদ ও মুম্বইয়ের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করতে হল?’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও আক্রমণ করেছেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেছেন, ‘২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ড. মনমোহন সিংহ। তিনি সবসময় নেহরু-গাঁধী পরিবারের নির্দেশে কথা বলতেন। না হলে কথাই বলতেন না।’
গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, শাসক দল বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের বাগযুদ্ধ ততই বাড়ছে। সম্প্রতি গুজরাত সফরে গিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী কৃষক ও শ্রমিকদের কথা না ভেবেই গত বছরের ৮ নভেম্বর আচমকা নোট বাতিল করেন। ছোট ব্যবসায়ীদের শেষ করে দেওয়ার জন্যই পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করেছে কেন্দ্র। গুজরাত সরকার যুবকদের কর্মসংস্থানে ব্যর্থ। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে উন্নয়ন হচ্ছে না।
আজ রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ করে আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘গাঁধী পরিবারের তিন প্রজন্ম উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি ও অমেঠির প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু গত ১৪ বছরে রাহুল গাঁধী কোনওদিন অমেঠিতে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে কালেক্টরেট অফিস তৈরি করার কথা ভাবেননি। যিনি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে কালেক্টরেট অফিসের শিলান্যাসও করতে পারেননি, তিনি গুজরাতের উন্নয়ন করবেন? গুজরাতে যখন বন্যা হয়েছিল, তখন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এসেছিলেন। কিন্তু রাহুল গাঁধী ইতালিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।’
আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, ‘গুজরাত দেশ ও সারা বিশ্বকে মহাত্মা গাঁধী ও সর্দার পটেল দিয়েছে। দেশকে নরেন্দ্র মোদীর মতো একজন প্রধানমন্ত্রী দেওয়ার জন্য আমি গুজরাতকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গুজরাত বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকেও উপহার দিয়েছে। তিনি বিজেপি-কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছেন।’