নয়াদিল্লি: পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেছেন, ‘রাহুল গাঁধী ভারতে জিএসটি-র একটি ধাপ চালু করার পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর এই প্রস্তাব ত্রুটিপূর্ণ। যে দেশগুলিতে সব মানুষের সমান ও বেশি অর্থ খরচ করার ক্ষমতা আছে, সেই দেশগুলিতেই জিএসটি-র একটি ধাপ চালু করা যায়। সিঙ্গাপুর মডেলের প্রতি আসক্তির বিষয়টি বোঝা যায়। কিন্তু সিঙ্গাপুর ও ভারতের নাগরিকদের প্রকৃতি আলাদা। সিঙ্গাপুর খাদ্য ও বিলাসবহুল পণ্যগুলির উপর ৭ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করতে পারে। সেই মডেল কি ভারতে কার্যকর হবে? জিএসটি-র মাধ্যমে গরিব মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। তাই কৃষিপণ্য এবং সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য অন্যান্য দ্রব্যগুলির ক্ষেত্রে করের হার কম রাখতে হবে। অন্যান্য পণ্যগুলির উপর বেশি কর ধার্য করা যেতে পারে। পরবর্তীকালে ২৮ শতাংশ জিএসটি-র ধাপ থেকে অনেক পণ্যই বাদ দেওয়া হতে পারে। কর আদায় যত বাড়বে, জিএসটি-র ক্ষেত্রে তত বদল করা হবে।’



পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় রাখার দাবি নিয়েও রাহুলের সমালোচনা করেছেন জেটলি। তিনি বলেছেন, ‘রাহুল গাঁধী ও পি চিদম্বরম বারবার বলেন, পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় আনতে হবে। কিন্তু আমি যখন কংগ্রেসশাসিত বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলি, মনে হয় তাঁরা এর জন্য তৈরি নন। পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় রাখা নিয়ে ইউপিএ-র রেকর্ড কী ছিল? ইউপিএ সংবিধান সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র বাইরে রাখা হয়েছিল। আমি একটি সূত্র বার করেছি। সংবিধান সংশোধন করে পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় রাখা যেতে পারে। সেটা কবে হবে, তা ঠিক করবে জিএসটি কাউন্সিল।’



জেটলি আরও দাবি করেছেন, ‘কোনও বড়সড় বিপর্যয় ছাড়াই জিএসটি-র মতো অপ্রত্যক্ষ করব্যবস্থায় সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে। বড় সংস্কারের ধাক্কা সামাল দিতে সময় লাগে। তবে এক বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি, জিএসটি যত মসৃণভাবে কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে, তার উদাহরণ বিশ্বের কোথাও নেই। জিডিপি-র উন্নতিতে জিএসটি-র দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।’