নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার গুজরাতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের আগের দিন রাহুল গাঁধীর সাক্ষাত্কার বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হতেই নির্বাচন কমিশনে গেল বিজেপি। রাহুলের বিরুদ্ধে মডেল আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে তারা। কেন্দ্রীয় বিদ্যুত মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রথম সারির নেতা পীযূষ গয়ালের দাবি, মডেল আচরণবিধিতে এ ধরনের সাক্ষাৎকার দেওয়ার অনুমতি নেই। নির্বাচন কমিশন থেকেও জেনেছি, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে ইন্টারভিউ দেওয়া যায় না। কংগ্রেস এতটাই ভীত, রাহুল গাঁধী মুখ বাঁচাতে এমনই মরিয়া যে তিনি মডেল আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে সাক্ষাৎকার দিলেন। কংগ্রেস কি এতটাই উদ্বেগে রয়েছে? একমাত্র রাহুল গাঁধীই বলতে পারবেন। আমরা এ ধরনের সাক্ষাত্কার দিইনি। আমরা কমিশনের বিধি ভাঙিনি।
রাহুল এবিপি অস্মিতা ও গুজরাত সমাচার টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কংগ্রেস একতরফা গুজরাত ভোটে জিতবে বলে দাবির পাশাপাশি বিজেপির গুজরাতের জন্য কোনও পরিকল্পনাই নেই বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, গত ২২ বছরে গুজরাতে কোনও উন্নয়নই হয়নি। জিএসটি, নোট বাতিলেরও তীব্র সমালোচনা করে সদ্য নির্বাচিত হওয়া কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিমুদ্রাকরণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি পদক্ষেপ। গব্বর সিং ট্যাক্স নয়, চাই যথার্থ এক জিএসটি।
বিজেপির কমিশনে অভিযোগ পেশের পাল্টা কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা চাঞ্চল্যকর দাবি করেন, রাহুল গাঁধীর সাক্ষাৎকার দেখানোয় টিভি চ্যানেলগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয় (পিএমও) থেকে ফোন করে ধমক দেওয়া হচ্ছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির বিরুদ্ধে মিডিয়ার মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা, বিরুদ্ধ মত প্রকাশ খর্ব করার অভিযোগও তোলেন সুরজেওয়ালা। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ২০১৪-র লোকসভা ভোটের ঠিক আগে চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। কমিশনের উচিত এটা খতিয়ে দেখে বিজেপিকে নোটিস দেওয়া।