নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধী এখনও পরিণত হননি। আরও সময় দিতে হবে তাঁকে। মহারাষ্ট্র আঞ্চলিক ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর এ কথা বললেন দলের বরিষ্ঠ নেত্রী ও দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। তবে রাহুল নিজের মত করে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।


বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৃহন্মুম্বই সহ ১০টি পুরনিগম ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। জেলা পরিষদেও মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। অল্পদিন আগে ওড়িশার গ্রামীণ ভোটেও রীতিমত খারাপ ফল করেছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। অথচ দেখা যাচ্ছে, সব জায়গাতেই রাহুল দলের প্রধান মুখ হিসেবে প্রচার চালিয়েছিলেন। এ নিয়ে বলতে গিয়ে শীলা দীক্ষিত বলেছেন, কংগ্রেস এখন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রজন্মগত পরিবর্তন যেমন হচ্ছে, তেমনই বদল আসছে রাজনীতিতেও। কয়েক বছর আগে যে ধরনের রাজনীতি করা হত, এখন আর তা দেখা যায় না। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।

তাঁর বক্তব্য, মনে রাখতে হবে, রাহুল এখনও পরিণত হননি। তাঁর বয়সই তাঁকে পরিণত হতে দিচ্ছে না। রাহুলের বয়স চল্লিশের কোঠায়, আরও সময় দিন তাঁকে। তবে রাহুলই শুধু গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা বলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

যদিও পরে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন বর্ষীয়াণ এই নেত্রী। দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রাহুলের চিন্তাভাবনা, বুদ্ধিসুদ্ধি যথেষ্ট পরিণত।



শীলা জানিয়েছেন, এ বছরই সম্ভবত দলের সভাপতি হবেন রাহুল। দলীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আশু প্রয়োজন। শুধু রাহুলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলেই পিছিয়ে যাচ্ছে গোটা প্রক্রিয়া। তাঁর দাবি, প্রিয়ঙ্কা ভঢরাও যথেষ্ট বুদ্ধিমতী ও সংবেদনশীল। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস-এসপি জোট তৈরিতে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা, রাহুল-প্রিয়ঙ্কা দু’জনেই দলে মুখ্য ভূমিকা নেবেন।