নয়াদিল্লি: তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ওপর নির্যাতন রোধ আইনের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে সংসদ চত্বরে মহাত্মা গাঁধীর মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কংগ্রেসের এমপিদের। নেতৃত্ব দিলেন রাহুল গাঁধী।
গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত ওই আইনে অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারির যে বিধি রয়েছে, তা শিথিল করে, জানিয়ে দেয়, এখন থেকে এই আইনে অভিযুক্ত কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করতে হলে কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি লাগবে, কোনও অ-সরকারি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হলে এসএসপির সম্মতি নিতে হবে। যথাযথ দায়িত্ব পালনকারী সত্, কর্তব্যপরায়ণ সরকারি অফিসারদের তফসিলি জাতি, উপজাতি আইনে মিথ্যা অভিযোগে জড়িয়ে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতেই শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়।
কংগ্রেস সাংসদদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক ভাবে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করা হয়নি। সরকার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন পেশ করুক। আইনে সংশোধনের দাবিও জানান তাঁরা। তফসিলি জাতি, উপজাতি সমাজের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মল্লিকার্জুন খাড়্গের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তফসিলি জাতি, উপজাতি আইনের সর্বশেষ ভাষ্যের ফলে কার্যত তার বিলুপ্তি ঘটতে চলেছে। সরকার সুপ্রিম কোর্টে ঠিকঠাক লড়তে পারেনি। সরকার রিভিউ পিটিশন দিয়ে তফসিলি স্বার্থরক্ষায় আইন সংশোধন করুক। নয়তো স্পষ্ট হবে, সরকার আত্মরক্ষার ভান করছে।
এদিকে বিজেপির দলিত সাংসদ উদিত রাজও বলেছেন, তফসিলি জাতি, উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের শাস্তিমূলক ধারাগুলি শিথিল করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের রিভিউ চেয়ে সরকার পিটিশন না দিলে দলের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সরকার যেমন ভাল কাজ হলে সাফল্য দাবি করতে পারে, তেমনই খারাপ কাজের জন্য সমালোচিতও হবে।
তিনি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ সহ শীর্ষ বিজেপি নেতাদের নিয়ে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি তুলবেন বলে জানিয়েছেন রাজ।