কিন্তু তাঁর ট্যুইট ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়। তিনি লেখেন, নরওয়ের বিদেশমন্ত্রকের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে কয়েকটা দিনের জন্য অসলো সফরে যাচ্ছি। এও লেখেন, রাজনীতি ও বাণিজ্য মহলের নেতৃত্ব ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ ও মতামত লেনদেনের লক্ষ্যে যাচ্ছি।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও লালুর সভায় সম্ভবত যাচ্ছেন না। কংগ্রেস অবশ্য জানিয়েছে, তারা লালুর কর্মসূচি সমর্থন করছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের তরফে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ।
নীতীশকুমার আরজেডি-র সঙ্গে জোট ভেঙে বিজেপির হাত ধরে বিহারে সরকার গড়ার পর এটাই পাল্টা লালুর শক্তির নিজের পরিচয় দেওয়ার বড় ধরনের কর্মসূচি। লালুর একা নয়, এই সমাবেশ থেকে গোটা বিরোধী শিবিরের সঙ্ঘবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার চেষ্টা হতে পারে বলে ধারণা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু ইতিমধ্যে তা ধাক্কা খেয়েছে কেননা বামেরা সেখানে থাকছে না জানিয়েছে। বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা হয়নি কোনও, এই অবস্থায় লালুর সভায় তিনি যাবেন না।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, লালু ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে যেখানে একাধিক দুর্নীতির মামলা ঝুলছে, সেখানে সনিয়া, রাহুল তাঁদের সঙ্গে একমঞ্চে থাকলে কংগ্রেসের ক্ষতি হতে পারে, এই ধারণা থেকেই তাঁরা সেখানে গরহাজির থাকছেন।