নয়াদিল্লি: দেওয়ালির পরই রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতি পদের ভার নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত সচিন পাইলটের। রাহুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজস্থানের এই নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বর্তমানে চলছে। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নিতে পারেন দেওয়ালি কেটে গেলেই। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


সচিন বলেন, আমার মনে হয়, দলের মধ্যেই ধারণা রয়েছে যে, রাহুলের হাল ধরার সময় হয়েছে, একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিন তিনি। পাশাপাশি শতাব্দী প্রাচীন দলে তরুণ ও প্রবীণদের 'ভারসাম্য রাখার' পক্ষেও মত রয়েছে।
সচিন বলেন, সহ সভাপতি হিসাবে রাহুল এমনিতেই অনেক কিছু দেখছেন, তবে দলের বক্তব্য, সঠিক সময় হলেই রাহুলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে আরোহন হওয়া উচিত এবং সেই সময় এখন এসে গিয়েছে।

রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা বঢরাও কি সক্রিয় রাজনীতিতে আসছেন, প্রশ্ন করা হলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন বলেন, উনি কংগ্রেসেরই লোক, তবে সক্রিয় রাজনীতিতে নামা না-নামা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।

রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র প্রসঙ্গে সচিনের মত, পদবী প্রথম দিকে কিছুটা সুবিধা করে দিলেও একজন নেতা কতখানি উপযুক্ত, তাঁর পারফরম্যান্সই ঠিক করে দেয়। কোনও একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়া অযোগ্যতা বলে মনে করা উচিত নয়। কাজ, প্রতিশ্রুতি পূরণ, পারফরম্যান্সের মাধ্যমে মানুষের মত জিতে নিতে পারলে সেটাই ঠিক করে দেয় সব কিছু। পদবীটা শুধু কিছুটা এগিয়ে দিতে পারে মাত্র।

কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতা করে, বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের পুত্র বলেন, বিজেপির আত্মসমীক্ষা করা উচিত। ওদের অনেক নেতাও রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন।

তিনি নিজে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি সমর্থন বা প্রত্যাখ্যান, কোনওটাই করছেন না বলে জানান সচিন, জোর দিয়ে বোঝাতে চান যে, ব্যক্তিগত কৃতিত্বই সাফল্য নির্ধারণ করে দেবে। বলেন, পরিবারই কারও রাজনীতিতে নামার একমাত্র কারণ হওয়া উচিত নয়। ওপর থেকে কাউকে জনসাধারণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্পই নেই।