নয়াদিল্লি ও লখনউ: বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক পদপ্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষার সময় বুকে জাত লেখা নিয়ে বিরোধী আক্রমণের মুখে গেরুয়া শিবির। ঘটনার তীব্র নিন্দা করল কংগ্রেস,  বিএসপি ও এনসিপি।


কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর দাবি, ‘জাতপাতের মনোভাব’ দিয়ে দেশের হৃদয়ে ‘ছুরি চালিয়েছে’ বিজেপি সরকার। সেখানে বিষয়টিকে ‘অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে বিএসপি প্রধান মায়াবতীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দলিতদের উদ্দেশ্যে এমনই ‘নতুন ভালবাসা’ বিলোচ্ছে বিজেপি-শাসিত সরকারগুলি।


এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, ‘জাতপাতের মনোভাব’ দিয়ে দেশের হৃদয়ে ‘ছুরি চালিয়েছে’ বিজেপি সরকার। এভাবে দেশের সংবিধানে আঘাত করে হয়েছে। এটা বিজেপি/সঙ্ঘ পরিবারের ভাবনাচিন্তা। একইভাবে, দলিতদের বিরুদ্ধেও সম-মনোভাব পোষণ করে বিজেপি। যদিও, আমরা সেই ভাবনাকে পরাস্ত করব।


https://twitter.com/RahulGandhi/status/990856428465385472

আক্রমণ করেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মৌনতাকে কটাক্ষ করেন। বলেন, এটাই হল বিজেপি সরকারের সর্বশেষ উদাহরণ। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য এভাবেই দলিতদের প্রতি এমন ‘ভালবাসা’ প্রদর্শন করছে গেরুয়া শিবির। তাঁর প্রশ্ন, কেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব এর নিন্দা করছে না। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার ঘটনার নিন্দা করে তদন্তের দাবি করেছেন।


শারীরিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের শরীরে নিজের জাত লিখে নিয়ে আসতে হবে। এমনই আজব নির্দেশ দিল মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার একটি হাসপাতাল। সেখানে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তফশিলি জাতি ও উপজাতি এবং সাধারণ পরীক্ষার্থীদের যাতে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই জাত লিখতে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


এ বিষয়ে পুলিশের সাফাই, গত বছর এই পরীক্ষার সময় ভুল হয়ে গিয়েছিল। সেটা এড়ানোর জন্যই এবার এই ব্যবস্থা করা হয়। যদিও পুলিশ সুপার বীরেন্দ্র সিংহ বলেছেন, এটি একটি গুরুতর ঘটনা। তিনি স্বীকার করেন, চিহ্নিতকরণের আরও অন্য পন্থা অবলম্বন করাই যেত। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।