পোরবন্দর: গুজরাতে ভোটের প্রচারে এসে মত্‍স্যজীবীদের প্রতি বার্তা কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মত্‍স্যজীবীদের সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রে পৃথক মত্‍স্যমন্ত্রক গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
মত্‍স্যজীবীদের প্রতি গুজরাতের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার অভিযোগেও এদিন সরব হন রাহুল। নৌকো চালানোর জন্য মত্‍স্যজীবীদের ডিজেল কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি বন্ধের জন্য তিনি গুজরাত সরকারের সমালোচনা করেন।
শিল্পপতিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, মোদীর ‘বন্ধুস্থানীয়’ ১০-১৫ জন শিল্পপতি দূষণ ঘটানোয় মত্‍স্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
গুজরাতের উপকূলবর্তী শহর পোরবন্দরে কংগ্রেসের জনসভায় এ দফার গুজরাত সফরের প্রথম দিনে মত্‍স্যজীবীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, এবারের ভোটে ২২ বছর পর রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস।
কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেছেন, মত্‍স্যজীবীরা কৃষকদের মতোই। মত্‍স্যজীবীদের দাবি মেনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রে পৃথক মত্‍স্যমন্ত্রক গড়ে তোলা হবে।
রাহুল দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী যথন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি টাটা মোটর্সের ন্যানো গাড়ির কারখানার জন্য ৩৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
রাহুল বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন মত্‍স্যজীবীরা ডিজেল কেনার জন্য ২৫ শতাংশ ভর্তুকি পেতেন। ওই ভর্তুকির পরিমাণ ছিল বছরে ৩০০ কোটি টাকা। বিজেপি সরকার সেই ভর্তুকি তুলে দিয়েছে।
রাহুল আরও বলেন, রাজ্যের বিজেপি সরকার ন্যানো কারখানার জন্য ৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারে, কিন্তু মত্স্যজীবীদের ৩০০ কোটি টাকা দিতে পারে না।
মোদীর রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-কেও কটাক্ষ করেছেন রাহুল। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারের দরজা শুধু  ধনীদের জন্যই খোলা। সেখানে গরিবদের কন্ঠস্বর পৌঁছয় না। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও বিধানসভা দরিদ্রদের জন্য খোলা থাকবে,  সরকার তাঁদেরই ‘মন কি বাত’ শুনবে।