মামলার শুনানির দায়িত্বে থাকা বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ার মিডিয়ায় বেরনো খবরের উল্লেখ করে ট্যুইটারে সেটি ট্যাগ করেন তিনি। খবরটির শিরোনাম হল, 'সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলা: মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, সিবিআইয়ের সমালোচনা করা বিচারককে সরিয়ে দেওয়ায় নতুন প্রশ্ন'
ট্যুইট করে রাহুল আগে এই মামলার শুনানি করা সিবিআই বিচারক বি জি লোয়ার মৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলেন রাহুল। #HowDidLoyaDie?" এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি লেখেন, সোহরাবুদ্দিন মামলার বলি আরও এক বিচারক। সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করা বিচারক রেবতি দেরেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অমিত শাহকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া বিচারক জে টি উত্পাতকেও অপসারিত করা হয়েছে। বিচারক লোয়া অস্বস্তিকর প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি মারা গেলেন।
সোহরাবুদ্দিনকে ভুয়ো সংঘর্ষে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা থেকে কয়েকজন পদস্থ আইপিএস কর্তাকে রেহাই দেওয়ার পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ পিটিশন পেশ হয়েছে। দৈনিক ভিত্তিতে তার শুনানি করছিলেন বিচারপতি দেরে। তিন সপ্তাহ বাদে তাঁকে সরিয়ে ভার দেওয়া হয়েছে নতুন এক বিচারপতির বেঞ্চকে।
হাইকোর্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, বিচারপতি দেরে ছাড়াও আরও কয়েকজন বিচারপতিকে অ্যাসাইন করা মামলাও বদল করা হয়েছে। ২০০৫ সালের নভেম্বরে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত বলে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার সোহরাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী কৌসর বি-কে ভুয়ো সংঘর্ষে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে। ২০০৬ এর ডিসেম্বরে গুজরাত ও রাজস্থান পুলিশের বিরুদ্ধে সোহরাবুদ্দিনের সহযোগী তুলসীরাম প্রজাপতিকেও ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সে সময় গুজরাতের স্বরাষ্টমন্ত্রী পদে থাকা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সহ ১৫ জনকে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত মামলা থেকে রেহাই দেয়।