আমদাবাদে শনিবার মহিলা টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের মুখে এমন কথা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী।
বলেন, রাহুল গাঁধী যদি কেন আরএসএসে মহিলাদের হাফ প্যান্ট পরতে দেওয়া হয় না প্রশ্ন তুলতেন, নিশ্চয়ই জবাব দিতাম। কিন্তু যে অশালীন ভাষা তিনি প্রয়োগ করেছেন, তাতে তাঁর কথার কোনও উত্তরের প্রত্যাশা করা উচিত বলে মনে করি না।
বিজেপি মহিলা-বিদ্বেষী দল, এহেন অভিযোগও খারিজ করে দেন সুষমা, পাল্টা দাবি করেন, বিরোধীরা বিজেপিকে মহিলা-বিরোধী বলতে পারে, কিন্তু আমরাই চারজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, চারজন রাজ্যপাল দিয়েছি।
বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৬ জন মহিলা মন্ত্রী আছেন, শ্রোতাদের তাও মনে করিয়ে দেন সুষমা। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, আমাদের সরকারের আগে কখনও কোনও মহিলা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিএস)-এর সদস্য হননি।
বর্তমানে চার সিসিএস সদস্যের মধ্যে দুজন মহিলা।
বিজেপির বিরুদ্ধে মহিলাদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ খারিজ করতে ২০১৪ সালে দেশের বিদেশমন্ত্রী পদে তাঁর নিজের ও এ বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে নির্মলা সীতারামনের নিয়োগের দৃষ্টান্তও দেন সুষমা।
সম্প্রতি রাহুলের তোপের মুখে পড়ে বিজেপি ও তার চালিকাশক্তি আরএসএস। রাহুলের দাবি, বিজেপি-আরএসএস মহিলা-বিদ্বেষী।
রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন, আরএসএসের শাখাগুলিতে তাদের চেনা, বহু পরিচিত ব্র্যান্ড অর্থাত খাকি হাফপ্যান্ট পরা মহিলাদের কেউ কখনও দেখেছেন কিনা। তিনি বলেন, আরএসএস বিজেপির মুখ্য সংগঠন। কতজন মহিলা আরএসএস করেন? কোনও আরএসএস শাখায় হাফপ্যান্ট পরা মেয়েদের কখনও দেখেছেন? আমি তো অন্তত দেখিনি।
সঙ্গে সঙ্গে আরএসএস রাহুলকে তোপ দেগে বলে, উনি এমন সব লোকজনের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়ছেন যাদের এই সংগঠন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাহুলকে বলেন, মহিলাদের সম্মান করতে শিখুন!
গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল জানতে চান, কংগ্রেস কি মহিলারা কী পোশাক পরেন, সেটাই একমাত্র জানতে আগ্রহী। রাহুলকে আরএসএসের মহিলা শাখা রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি সম্পর্কে ভাল করে জেনে নিতেও পরামর্শ দেন তিনি।