নয়াদিল্লি: কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে ভাঙা রেললাইনই দায়ী। পাশাশাশি, উন্নতমানের কোচ না হওয়ার ফলেও হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার ভোররাতে কানপুরের কাছে পুখরায়ানে বেলাইন হয় ইনদওর-পটনা এক্সপ্রেস। উল্টে যায় ১৪টি বগি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় প্রাণ হারাণ শতাধিক যাত্রী। জখম হন প্রায় দ্বি-শতাধিক।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেনমমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। এই ঘটনায় রেল নিরাপত্তা কমিশনারের (উত্তরাঞ্চল) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন তিনি।
নির্দেশমতোই, কাজে নেমে পড়েন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে রেললাইনে চিড় ধরার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং লাইনের বিভিন্ন ফিটিংয়ের অপর্যাপ্ত জোগানের ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে রেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের এক আধিকারিক জানান, রেললাইনে চিড় ধরার প্রধান কারণ হল আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালে তাপে লাইন সম্প্রসারি হয়, আবার শীতকালে তা কমে যায়। এরফলেই, লাইনে চিড় ধরা পড়ে।
তবে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই যুক্তি মানতে নারাজ রেল সুরক্ষা দফতর। তাদের মতে, রক্ষণাবেক্ষণেই গাফিলতি ছিল। আবহাওয়া পরিবর্তন তাতে স্রেফ ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে কানপুর-ঝাঁসি গোটা রেললাইনটির ভিডিও করেছে তদন্তকারী দল। এমনটাই জানালেন উত্তর-মধ্য রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ সাক্সেনা।
রেললাইনের মেরামতিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছেন প্রায় ৩০০ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল স্টাফ। রেল সূত্রে খবর, লাইন ঠিক হতে প্রায় ৩৬-ঘ্ণ্টা লাগবে।