নয়াদিল্লি: অঙ্কে পাশ করতে না পেরে গত ৮ মার্চ হতাশা, দুঃখে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজামুদ্দিন স্টেশনে তামিলনাড়ু এক্সপ্রেসে উঠে বলেছিল ক্লাস নাইনের ছাত্রী আনিশ জোসম্যান। বাড়ির লোকেরা পুলিশে খবর দেয়। গতকাল ভোপাল স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ আনিশ দেখা করতে যায় রেলমন্ত্রী পীযূশ গয়ালের সঙ্গে। তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা 'এক্সাম ওয়ারিয়র্স' বইটি উপহার দেন রেলমন্ত্রী। বইটি মোদী লিখেছেন পড়ুয়াদের মন থেকে পরীক্ষা ভীতি দূর করার উদ্দেশ্যে। কাকতালীয় ভাবে সেই কার্যকারিতার প্রমাণ মিলল এ ঘটনায়।
আনিশের মা জানিয়েছেন, মেয়ে ঘরে ফিরেছে, জানিয়েছে, চেন্নাই গিয়ে বাইবেল ক্লাসে যোগ দেবে বলেই ট্রেনে উঠে পড়েছিল।
মেয়ে অঙ্কে দুর্বল, শেষ পরীক্ষায়ও একেবারেই খারাপ নম্বর পায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি মেয়ের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলেও স্কুল কোনও গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, স্কুল এ নিয়ে ভাবেই না। আমাদের সঙ্গে কথাই বলতে চায়নি। ইচ্ছা ছিল, মন্ত্রীকে কথাটা বলব। গভীর সমস্যা এটা, যা ক্ষতি করছে পড়ুয়াদের।




তবে আনিশের কথা এভাবে হয়তো জানাজানি হত না, রেল এমন অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েকেই উদ্ধার করে, হয়তো তাদেরই একজন হয়ে থাকত সে, যদি না রেলমন্ত্রী ওর কথা ট্যুইট করে জানাতেন। তিনিই ট্যুইট করেন, নয়াদিল্লির আনিশ জোসম্যানের সঙ্গে দেখা হল। পরীক্ষার ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল ও, রেল ওকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। ওকে প্রধানমন্ত্রীর লেখা 'এক্সাম ওয়ারিয়র্স'-এর কপি দিয়ে বলেছি, পরীক্ষা যোদ্ধা হও, ভয় পেও না।
প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রক 'অপারেশন মুসকান' অভিযানের আওতায় নিয়ে এসেছে দেশের সব বড় রেল স্টেশনকে। এর উদ্দেশ্য নিখোঁজ বাচ্চাদের উদ্ধার করা।
রেলমন্ত্রকের পরিসংখ্যান, ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আরপিএফ প্রায় ২১ হাজার পাচার করা বাচ্চাকে উদ্ধার করেছে।