জয়পুর: ২০১৫ সালে রাজস্থানের তত্কালীন বসুন্ধরা রাজে সরকার জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও পুর নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে ন্যূনতম ক্লাস টেন পাশ করতেই হবে বলে যে বিধি চালু করেছিল, রাজ্যের নতুন কংগ্রেস সরকারের জমানায় তার অবসান হল। ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার বিধি বাতিল করতে সোমবার দুটি বিল পাশ হল রাজস্থান বিধানসভায়। ধ্বনিভোটে গৃহীত হল রাজস্থান পঞ্চায়েতি রাজ (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ ও রাজস্থান পুরসভা (সংশোধন) বিল, ২০১৯। বিধিবদ্ধ এলাকা ও তার বাইরের এলাকায় পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধ্যতামূলক ভাবে যথাক্রমে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে বলেও নিয়ম ছিল রাজে জমানায়।
আজ রাজস্থান পঞ্চায়েতি আইন সংশোধনী বিল, ২০১৯ এর ওপর বিতর্কের জবাবে অশোক গেহলত সরকারের পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী সচিন পায়লট সওয়াল করেন, বর্তমান সরকার সমাজের প্রতিটি অংশের উন্নয়নে দায়বদ্ধ। আগের আইনের ধারায় রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মান গ্রহণ করা সরপঞ্চরা অযোগ্য গণ্য হতেন। আইনটাই ছিল সংবিধানের মৌলিক বুনিয়াদের পরিপন্থী। সমাজে শিক্ষার মাপকাঠিতে বিভাজন চলে না। শিক্ষাগত মাপকাঠি বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে প্রথমে চালু করা উচিত। স্থানীয় স্বশাসন মন্ত্রী শান্তি কুমার ধারিওয়াল রাজস্থান পুর (সংশোধন) বিল, ২০১৯ পেশ করেন। বিতর্কের জবাবে তিনি জানান, কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারেই পুরভোটে লড়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ধারিওয়াল বলেন, জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভোটে প্রার্থী হওয়ার অজস্র নজির আছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি থাকায় দুটো শ্রেণি তৈরি হয়েছে। নিরক্ষর লোকজন নিজেদের অধম মনে করছেন। কিন্তু বাস্তব বোধ, জ্ঞান অনেক বেশি জরুরি। বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এঁরা ক্লাস টেন পাশ না করেও দারুণ প্রশাসক ছিলেন।
চালু করেছিল বিগত বিজেপি সরকার, বিল পাশ রাজস্থান বিধানসভায়, পঞ্চায়েত, পুরভোটে লড়তে ন্যূনতম ক্লাস টেন পাশের মাপকাঠি বাতিল
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
11 Feb 2019 07:46 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -