নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের গবাদি পশু কেনাবেচার ওপর সাম্প্রতিক বিধিনিষেধের তুমুল নিন্দা, সমালোচনার মধ্যেই গোহত্যায় যাবজ্জীবন কারাবাসের সুপারিশ করল রাজস্থান হাইকোর্ট। পাশাপাশি গরুকে জাতীয় পশু বলে ঘোষণা করতে কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


এ ব্যাপারে রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচাঁদ শর্মার নেতৃত্বাধীন এক সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অ্যাডভোকেট জেনারেল হবেন গরুর আইনি রক্ষাকর্তা। এঁরা গরু রক্ষা, প্রতিপালনে ব্যবস্থা নেবেন, গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার জন্যও কাজ করবেন।

হিঙ্গোনিয়া গোশালা মামলার শুনানি চলাকালে এমন সুপারিশ করেছেন বিচারপতি শর্মা। রাজস্থানের এই গোশালা নাকি এশিয়া সেরা। সেখানে অসুস্থ হয়ে এবং দুর্ঘটনায় গত বছরের জুলাইয়ে ৮ হাজারের বেশি গরু মারা গিয়েছিল। সে ব্যাপারেই মামলা হয়েছে।

বিচারপতি তারই রায়ে বলেছেন, হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল গরুকে জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত মূলত কৃষিভিত্তিক দেশ যেখানে পশুর লালনপালন যথাযথ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। সংবিধানের ৪৮ ও ৫১ এ (জি) ধারায় এটাই প্রত্যাশিত যে রাজ্য সরকার দেশে গরুকে আইনি মর্যাদা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রক পশুদের প্রতি নির্যাতন রোধ, ২০১৭-র বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, পশুবাজারে গবাদি পশুর কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নয়া নিয়মে পশুবাজারে কসাইখানায় জবাই করার জন্য গবাদি পশু কেনাবেচা করা যাবে না, কেবলমাত্র চাষবাসের কাজেই করা যাবে।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় গবাদি পশুর মধ্যে পড়ছে ষাঁড়, বাছুর, গরু, মহিষ, উট প্রভৃতি।

নতুন নির্দেশ কার্যত গোমাংস খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির। ক্ষোভ জানিয়েছে চামড়া, গোমাংস ব্যবসায়ীদের একাংশও।
গতকাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি রূপায়ণে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে।