পড়ে পাওয়া ওই টাকা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারত দু’ভাই। আর কিছু না হোক, কদিন আর একটু ভালভাবে বাঁচার স্বপ্নও বিচিত্র ছিল না। কিন্তু সে পথেই হাঁটেনি তারা। উল্টে বইখাতা, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখতে পায় একটি বইয়ে নাম লেখা রয়েছে, শালু পুনিয়া। পরদিন, ফের রাস্তায় নামে মধ্য তিরিশের দুই ভাই। মঙ্গলবার যে সব গ্রাম থেকে কাগজ সংগ্রহ করেছিল, সেগুলির ঘরে ঘরে গিয়ে শালু পুনিয়ার খোঁজ করে। জানতে পারে, শালু ১৫ এসজিআর গ্রামের শান্তি ও কিশোর ভাদুর নাতনি। এরপর ওই বাড়ি গিয়ে তারা প্রৌঢ় দম্পতির হাতে তাঁদের টাকা তুলে দেয়।
স্ত্রী তো বটেই, স্বামীও জানতে পারেননি, কাগজপত্রের সঙ্গে চলে গেছে একলাখ টাকা। কিশোর ভাদু জানিয়েছেন, ধার শোধের জন্য ওই টাকা তুলে এনে তা রেখেছিলেন পুরনো কাগজপত্রের মধ্যে একটি বাক্সে। স্ত্রী যে সব কিছু বেচে দিয়েছেন, তা তিনি জানতেনই না। ভার্মা ভাইদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই ভাদু দম্পতির। ঈশ্বরপ্রেরিত দূত হিসেবে তাদের দেখছেন তাঁরা।