জয়পুর: রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা শান্তি ভাদু মঙ্গলবার যখন ডাঁই করা পুরনো কাগজপত্র বিক্রি করছিলেন, তখন জানতেনই না, তার সঙ্গে ১ লাখ টাকাও চলে যাচ্ছে। এমনকী টাকাটা দিয়ে দেওয়ার পরেও এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তিনি। বাড়ির মধ্যে এখানে ওখানে কাগজ জমে রয়েছে, ৫ টাকা কিলো দরে যাবতীয় আবর্জনা তিনি বেচে দিয়েছিলেন সুরেন্দ্র ও শঙ্কর ভার্মা নামে দুই ভাইকে। স্বামী কিশোর ভাদু যে ধার শোধের জন্য ১ লাখ টাকা নিয়ে এসে পুরনো বইপত্রের মধ্যে রেখেছেন, শান্তিদেবী তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি। কিন্তু এ নিয়ে চূড়ান্ত অশান্তি ও ভুল বোঝাবুঝির হাত থেকে পরিবারটিকে বাঁচাল ওই দুই কাগজ খরিদ্দার ভাই। রাতে বাড়ি গিয়ে তারা কাগজের ডাঁই খুলে দেখে, ভেতরে রয়েছে ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটে একলাখ টাকা!


পড়ে পাওয়া ওই টাকা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারত দু’ভাই। আর কিছু না হোক, কদিন আর একটু ভালভাবে বাঁচার স্বপ্নও বিচিত্র ছিল না। কিন্তু সে পথেই হাঁটেনি তারা। উল্টে বইখাতা, কাগজপত্র ঘেঁটে দেখতে পায় একটি বইয়ে নাম লেখা রয়েছে, শালু পুনিয়া। পরদিন, ফের রাস্তায় নামে মধ্য তিরিশের দুই ভাই। মঙ্গলবার যে সব গ্রাম থেকে কাগজ সংগ্রহ করেছিল, সেগুলির ঘরে ঘরে গিয়ে শালু পুনিয়ার খোঁজ করে। জানতে পারে, শালু ১৫ এসজিআর গ্রামের শান্তি ও কিশোর ভাদুর নাতনি। এরপর ওই বাড়ি গিয়ে তারা প্রৌঢ় দম্পতির হাতে তাঁদের টাকা তুলে দেয়।

স্ত্রী তো বটেই, স্বামীও জানতে পারেননি, কাগজপত্রের সঙ্গে চলে গেছে একলাখ টাকা। কিশোর ভাদু জানিয়েছেন, ধার শোধের জন্য ওই টাকা তুলে এনে তা রেখেছিলেন পুরনো কাগজপত্রের মধ্যে একটি বাক্সে। স্ত্রী যে সব কিছু বেচে দিয়েছেন, তা তিনি জানতেনই না। ভার্মা ভাইদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই ভাদু দম্পতির। ঈশ্বরপ্রেরিত দূত হিসেবে তাদের দেখছেন তাঁরা।