সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, হজরতবাল মসজিদে সবচেয়ে বড় জমায়েতে যোগ দেন প্রায় ৫০ হাজার লোক, ৪০ হাজার মানুষ হাজির ছিলেন শ্রীনগরের ঈদগাহতে। সোনাওয়ার, শৌরার ধর্মস্থানেও ভাল ভিড় ছিল। বিভিন্ন জেলার মসজিদগুলিতেও ঈদের প্রার্থনায় হাজির হন বহু মানুষ। কিন্তু তার মধ্যেই একাধিক জায়গায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ হয়। বারামুলার সোপোরে জখম হন ডজনের বেশি লোক।
স্বাধীনতাপন্থী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তারা পাথর ছোঁড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে। তাদের মোকাবিলায় কাঁদানে গ্যাস, পেলেট গান ব্যবহার করে পুলিশ। অনন্তনাগ, রাজপোরা, সোপিয়ান, সাফাকাদালেও খণ্ডযুদ্ধ হয় জনতা, পুলিশের। অশান্তির আশঙ্কায় আগেভাগে গৃহবন্দি করা হয় সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক সহ শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের। জেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিককেও আগাম হেফাজতে নিয়ে শ্রীনগরের সেন্ট্রাল জেলে ঢুকিয়ে দেয় প্রশাসন। তা সত্ত্বেও ঠেকানো যায়নি অশান্তি। কোথাও কোথাও হিজবুল জঙ্গিদের ছবি দিয়ে পোস্টার, ব্যানার চোখে পড়ে।
জামা মসজিদের বাইরে ডিএসপি মহম্মদ আয়ুব পন্ডিতকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে খুনের ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবার ঈদ পালিত হচ্ছে। পন্ডিত হত্যার পরই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে জওয়ানদের বারণ করে দেওয়া হয়, তাঁরা যেন জেলা পুলিশ লাইনের মসজিদে বা সুরক্ষিত মসজিদে প্রার্থনা সারেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এক বার্তায় বলেন, আমি পুরোপুরি আশাবাদী যে, মানবতা ও মঙ্গলের এই উত্সবে কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি, উপলব্ধি, ভ্রাতৃত্ব ও সুখ প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে নতুন ভোরের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি সব কাশ্মীরী ভাই-বোন, যুবক, প্রবীণ ও শিশুকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন রাজনাথ।