অশান্ত উপত্যকায় কীভাবে স্থায়ী শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করবেন রাজনাথ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরা, মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং অসামরিক ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, গুলি বা গালি নয়, প্রতিটি কাশ্মীরীকে কাছে টেনেই জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের কিছুদিন পরেই রাজনাথের এই সফর।
গত ১৯ আগস্ট রাজনাথ দাবি করেছিলেন, ২০২২-র আগেই সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদ ও উত্তর-পূর্বের জঙ্গিকার্যকলাপ সহ কাশ্মীর সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।
এরইমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল। মনমোহন ও তাঁর প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস কর্মী ও অন্যান্য সমমনোভাবাপন্ন গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করবেন। মনমোহন কংগ্রেসের কাশ্মীর সংক্রান্ত নীতি নির্ধারক কমিটির প্রধান।
গত ১৭-১৯ আগস্ট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি দল রাজ্য সফরে এসেছিল। ওই দলের রিপোর্টে বলা হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘আতঙ্ক ও হতাশা’র মনোভাব বাড়ছে। তাদের আগের সফরের চেয়েও পরিস্থিতি 'আরও খারাপ' বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল গিয়েছিল রাজ্যে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজনাথ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি ও সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাঁচ বিরোধী সাংসদের সঙ্গে কথা বলতেও অস্বীকার করেছিল।