এদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহঋষি সহ শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ। প্রায় এক-ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে উপত্যকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিহবহাল করা হয়। পাশাপাশি, সীমান্ত সমস্যা ও তার প্রেক্ষিতে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়েও অবগত করা হয় রাজনাথকে।
নতুন করে হিংসার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। যার জেরে বেশ কিছু জায়গায় মতুন করে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
এছাড়া, সার্বিক আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশ কিছু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিনও উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
করিমবাদ ও সংলগ্ন অঞ্চলের বহু মানুষ রাস্তায় নেমে নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তাবাহিনী রাতে এসে তল্লাশি চালিয়েছে। এর বিরুদ্ধে এদিন নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। টিয়ার গ্যাস ও ছররা গুলিতে (পেলেট) জবাব দেয়
এই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, গতমাসে পুলিশের গুলিতে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয় এদিন।
এর ফলে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৬। এই তালিকায় ২ পুলিশকর্মীও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকা।
ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে উপত্যকা-জুড়ে বনধের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এদিনের ধরে টানা ৬৬ দিন ধরে স্বাভাবিক জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে কাশ্মীরে।
জানা গিয়েছে, বনধকে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।