বেঙ্গালুরু: ভারতের ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে ওঠার উদ্য়োগের সফল রূপায়ণের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন রাজনাথ সিংহ। মঙ্গলবার এখানে হিন্দুস্তান এয়ারনোটিকস লিমিটেড (হ্যাল)-এ এলসিএ তেজসের জন্য় নির্ধারিত প্ল্যান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারত নিজের প্রতিরক্ষার জন্য় অন্য় দেশগুলির ওপর নির্ভর করে থাকতে পারে না। সম্প্রতি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিএস) ৮৩টি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস মার্ক-আই এ এয়ারক্র্যাফট সংগ্রহে অনুমোদন দিয়েছে। এগুলির দাম পড়বে ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সিসিএসের ছাড়পত্রে উত্সাহ পেয়ে হ্যাল বেঙ্গালুরুতে একটি ডেডিকেটেড দ্বিতীয় এলসিএ কারখানাকে সচল করেছে।


আজ ডোড্ডানেকুন্ডিতে নতুন কারখানার উদ্বোধন করেন রাজনাথ। একটি সূত্রে বলা হয়েছে, পুরোপুরি চালু হওয়ার পর ওই প্ল্যান্ট বছরে ১৬টি এলসিএ তৈরি করতে পারবে। আমরা তেজস মার্ক-১এ ও ট্রেনার এখানেই তৈরি করব।
বর্তমানে বছরে আটটি এলসিএ উত্পাদনের ক্ষমতা আছে হ্যালের। প্রথম ডেডিকেটেড এলসিএ প্ল্যান্ট ও হ্যালের এয়ারক্র্যাফট ডিভিশন, দু জায়গাতেই তা তৈরি হচ্ছে। রাজনাথকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, তেজস শুধুমাত্র দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি নয়, একাধিক মাপকাঠিতে তার সমকক্ষ অন্য বিদেশি বিমানের থেকেও উন্নত, তুলনামূলক ভাবে সস্তাও। তিনি বলেছেন, অনেক দেশই তেজসের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। ভারত আর কয়েক বছরের মধ্য়েই প্রতিরক্ষা সামগ্রী নির্মাণে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার টার্গেট স্পর্শ করবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর ভাষণে রাজনাথ বলেন, হ্যাল যাতে নতুন নতুন বরাত পায়, তা সুনিশ্চিত করতে সরকার যাবতীয় প্রয়াস চালাবে। নিজের প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে ভারত অন্য দেশের ওপর নির্ভর করে থাকতে পারে না বলেও জানান তিনি। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা বলেছে, কোভিড অতিমারী সত্ত্বেও আপনারা সশস্ত্র বাহিনী থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকার বরাত পেয়েছেন। এটি দেশীয় স্তরে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংগ্রহ বলে জানিয়ে রাজনাথ বলেন, এটা ভারতীয় এয়ারোস্পেস সেক্টরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা সাধারণ বাজেটে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য় মূলধনী বরাদ্দ প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর বরাদ্দ হয়েছিল ৪.৭১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২১-২২ এ তা দাঁড়িয়েছে ৪.৭৮ লক্ষ কোটি টাকায়।