নয়াদিল্লি: বরুণ গাঁধীর ভাগ্যে সম্ভবত শিকে ছিঁড়ছে না। সমীক্ষার ফলকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করেছে, রাজনাথ সিংহকে সামনে রেখেই উত্তরপ্রদেশ ভোটে লড়বে তারা। রবিবার থেকে শুরু হতে চলা ইলাহাবাদে দলের দুদিনের বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে দলের ইলেকশন ক্যাম্পেন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। অর্থাৎ তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে লড়বে বিজেপি। এ ব্যাপারে নাকি তাঁকে জানানোও হয়েছে। এখন তাঁর সম্মতির অপেক্ষা।
রাজনাথ রাজি হলে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপির দীর্ঘদিনের গড়িমসির একটা সন্তোষজনক সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ইতিহাস বলছে, গোবলয়ের এই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক না করে ভোটে লড়তে গেলে পরাজয় অনিবার্য। অভিজ্ঞ নেতা রাজনাথ নিজে উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন, রাজ্যের ভোট যুদ্ধের যাবতীয় খুঁটিনাটির সঙ্গে তিনি পরিচিত। দুবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থাকার জেরে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী ও এসপি সভাপতি মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়াও তাঁর পক্ষে সহজ। ফলে দলীয় নেতাদের মত, এই পরিস্থিতিতে রাজনাথই দলের পক্ষে সবথেকে ভাল বাজি। এর আগে স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথ, বরুণ গাঁধীর মত নেতানেত্রীদের নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেন তাঁরা। এক সমীক্ষায় উঠে আসে, বরুণকে নাকি দলীয় কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে চাইছেন। এমনকী আলোচনায় উঠে আসে রাজনীতি থেকে কার্যত সন্ন্যাস নেওয়া কল্যাণ সিংহের নামও।
কিন্তু এঁদের কারওরই মুলায়ম, মায়াবতীর সঙ্গে ভোট যুদ্ধ সমানে সমানে লড়ার ওজন বা অভিজ্ঞতা কোনওটাই নেই। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিচিত কোনও নেতাকে সামনে রেখে ভোটে লড়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি বিজেপি। গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে কার্যত গেরুয়া ঝড় বওয়ার পর এই বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করতে চাপও রয়েছে তাদের ওপর। পাশাপাশি তাঁদের হিসেব বলছে, রাজনাথকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়লে ঠাকুর ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপিতে আসবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্সও যথেষ্ট ভাল ছিল। তা ছাড়া রাম মন্দির আর হিন্দুত্ব নিয়ে গোঁড়া অবস্থানের কারণে সঙ্ঘ পরিবারেরও রাজনাথে কোনও আপত্তি নেই।