দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই মহিলা দালালরা ভুলে যেত তাদের একসময় যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সেই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে ওই কচি কচি মেয়েগুলোকে। ওই মহিলা দালালরা রোবটের মতো রাম রহিমের নির্দেশে কাজ করত। এবং এটা কোনও এক রাতের ঘটনা নয়। প্রতি রাতে নতুন নতুন মেয়ে লাগত লাভ চার্জারের নিজের যৌন খিদে মেটানোর জন্যে। রেহাই পেত না নাবালিকারাও।
তবে শুধু যৌন হেনস্থা নয়, অনেক ফলোওয়ারের সঙ্গে সহমত হয়েই শারীরিক মিলন করত রাম রহিম। তারা ধর্ষক বাবার এতটাই বশ হয়ে যেতেন, যে গুরমীত যা বলত অন্ধের মতো সেটা পালন করতেন ওই মহিলারা। পরে এই মহিলারাই নতুন নতুন মেয়ে ধর্ষক বাবার জন্যে ধরে আনতেন। তবে ডেরায় শুধু রাম রহিম নয়, বহু রাজনৈতিক নেতাও যেতেন বিনোদনের জন্যে, পেতেন মদ, মহিলা এবং টাকা।
রাম রহিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই মহিলা দালালরা মূলত রোবটের মতো কাজ করতেন। তাদের কোনও মানবিকতা ছিল না, কোনও অনুভূতি থাকত না। তারা ছোট ছোট শিশুর চিত্কারেও থেমে যেতেন না। নির্বিকার ভাবে তাদের ঢুকিয়ে দিত বাবার গুহায়।
ধর্ষক বাবার শাস্তির পিছনে থাকা এক মহিলার অভিযোগ, এই মহিলা দালালদের বিষকন্যা বলা হত । তাঁর দাবি, তিনি গুহার বাইরে নিরাপত্তা দিতেন। তখনই দেখেছিলেন বহু মেয়ে সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই বলত না, তাদের সঙ্গে কী হয়েছে। মূলত সেখানে মেয়েদের ঢোকানো হত। তারপর বিভিন্ন জিনিষ দিয়ে তাদের প্রলোভন দেখানো হত। তারপর বলা হত, বাবা তাদের নির্বাচিত করেছেন, নিজের সবচেয়ে প্রিয় শিষ্যা হিসেবে। এবার তাদের পবিত্র করার জন্যে নিজের কাছে ডাকব। তবে শুধু যৌন খিদে মেটানোই নয়, বাবার জন্যে রান্না থেকে কাপড় কাচা, সবই করত হত ওই সমস্ত মেয়েদের।
এছাড়া ওই মহিলা দালালরা গুহার সমস্ত মেয়েদের ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখত। কেউ যদি বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলত, তাহলে দিনের পর দিন খাবার জুটত না। এছাড়া আরও নানা ধরনের অত্যাচার তো চলতই। রেহাই মিলত না ছেলেদেরও। তবে ছেলেদের অপরাধ গুহায় তারা কোনও মেয়ের দিকে তাকালেই পেতে হত কড়া শাস্তি। এদিকে দলিত মহিলাদের সেখানে পরিণত করা হয় কাজের লোকে। কিন্তু এই পুরো প্রক্রিয়ায় বাবাকে যে মহিলা দালালরা সাহায্য করত, তাঁরা কিন্তু এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিনা বাধায়।