নয়াদিল্লি: কার্গিল শহিদের মেয়ে গুরমেহর কউরের এবিভিপি-বিরোধী ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই এক সেনা জওয়ানের ভিডিও ট্যুইটারে পোস্ট করে জাতীয়তাবাদ ইস্যুতে চলতি বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন কিরেন রিজিজু।

রামজস কলেজে বামপন্থী আইসা, এসএফআইয়ের কর্মীদের ওপর বিজেপি-সমর্থক এবিভিপি সদস্যদের চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর 'এবিভিপি-কে ভয় পাই না' বলে ফেসবুকে পোস্ট করেন গুরমেহর। সেইসঙ্গে লেখেন, 'বাবাকে পাকিস্তান মারেনি, যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে তাঁর'। তীব্র কটাক্ষ, বিদ্রুপের পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায় এজন্য এবিভিপি-র লোকজন তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে, গুরমেহরের এই দাবি আলোড়ন ফেলে দেয়। গতকাল রাজধানীতে তাঁর সমর্থনে এবিভিপি-বিরোধী মিছিল করেন বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা, কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইয়ের সদস্যরাও। ঘুরিয়ে তাঁদের জবাব দিতেই সেনা জওয়ানের ভিডিওটি পোস্ট করেন রিজিজু।




ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৬-র জানুয়ারি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই জওয়ান একটি বড় জমায়েতের সামনে বলছেন, আমরা দেশকে নিরাপদ রাখতে সন্ত্রাসবাদী, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে, দেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ একদল লোক, যারা এ দেশেই থাকে, কিন্তু 'ভারত মূর্দাবাদ' স্লোগান দেয়।
গত বছর জেএনইউয়ের বিতর্কিত অনুষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত করে জওয়ানটি বলছেন, আফজল গুরুকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখলে আমাদের কষ্ট হয় না, কিন্তু দুঃখ হয় যখন দেখি, কিছু লোক স্লোগান দিচ্ছে, 'আফজল, তোমার হত্যাকারীরা বেঁচে আছে, এজন্য আমরা লজ্জিত!' তিনি এও বলেছেন, গুরুর মতো লোকের হয়ে লোকে মিছিল করছে দেখলে আমাদের কষ্ট হয়। সন্ত্রাসবাদীর শেষযাত্রায় মানুষের ঢল দেখলে যন্ত্রণা হয়।

ভিডিওটি পোস্ট করে রিজিজু ট্যুইট করেছেন, মহাসাগরের চেয়েও গভীরে যন্ত্রণা বয়ে চলেছে। আমাদের জওয়ানরা বাধ্য হয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, এটা দেখে কষ্ট হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গুরমেহরের এবিভিপি-বিরোধী মন্তব্যের পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্যুইট করেছিলেন, কে ওর মন বিষিয়ে দিচ্ছে জানি!