জলন্ধর: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গুরমেহর কউর সমস্ত বিতর্ক এড়িয়ে এখন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে চান। তাঁকে একা থাকতে দেওয়ার জন্য তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।


উল্লেখ্য, আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলার পরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহিদ জওয়ানের কন্যা গুরমেহরকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। রামজশ কলেজে সংঘর্ষের ঘটনার পর তিনি এবিভিপি-র বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এরপরই গত বছরে পোস্ট করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। শান্তির আর্জি জানিয়ে ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, পাকিস্তান নয়, যুদ্ধ তাঁর বাবাকে মেরেছে। গুরমেহরের পোস্ট ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ও রাজনীতিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। তিনি দিল্লি পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এরপর তিনি দিল্লি ছেড়ে নিজের বাড়ি জলন্ধরে ফিরে এসেছেন। জলন্ধর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দুই মহিলা কনস্টেবলকে। তাঁর বাড়ির সামনে এখন সংবাদমাধ্যমের ভিড়।

গতকাল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য কথা বলেন গুরমেহর। তিনি বিতর্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি। গুরমেহর বলেছেন, এখন তিনি পড়াশোনার মন দিতে চান।

গুরমেহরের দাদু কামওয়ালজিত সিংহ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কলেজে ফিরে যাবেন তাঁর নাতনি। একইসঙ্গে দাদু বলেছেন, তাঁর নাতনি খুবই সাহসী।

কামওয়ালজিত আরও বলেছেন, গুরমেহর তো শুধুমাত্র তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন। কোনও দলের তা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে দিল্লিতে গুরমেহরের পূর্ণ সুরক্ষার বন্দোবস্ত করার আর্জি জানানো হয়েছে। গুরমেহরকে যারা হুমকি দিয়েছে, তাদের গ্রেফতারেরও দাবি জানানো হয়েছে।