গাজিয়াবাদ: অন্তত ৫ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের শহরে শহরে বিক্রি হয়েছেন তিনি। বারবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নানা বয়সের নানা মানুষের কাছে। ১৯ বছরের বাঙালি মেয়েটিকে অবশেষে উদ্ধার করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। কথা বলতে অক্ষম তরুণী পুলিশকে লিখে জানিয়েছেন নিজের সব কথা।


এই মেয়েটির বাবা মা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কাজের খোঁজে তাঁরা সাহারানপুরে যান, কারখানায় কাজও করতেন। কিন্তু রোগে ভুগে দুজনেরই মৃত্যু হয়, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হওয়া ১৪ বছর বয়সি কিশোরী ফুরকান নামে একজনের বাড়িতে কাজ শুরু করে। অসহায় মেয়েটিকে সেই ফুরকান নিয়মিত ধর্ষণ করত। তারপর সে ও তার স্ত্রী তাকে বেচে দেয় গাজিয়াবাদের মেহদি হাসান ও সাদ মালিকের কাছে। এই দুজন ও অক্ষয় বলে আর একজনের হাতে সে বারবার ধর্ষণের শিকার হয়। তারপর তারা তাকে বিক্রি করে মুরাদ নগরের অনিল কাশ্যপের কাছে। সেও তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এভাবে কেটে যায় ৫ বছর। পয়লা জুন সাহারানপুর পুলিশের উওমেন হেল্পলাইনে এই মেয়েটির ব্যাপারে একটি ফোন আসে। খবর যায় গাজিয়াবাদ পুলিশে। টানা সন্ধানের পর এ মাসের ১১ তারিখ অনিল কাশ্যপের বাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

কাশ্যপ প্রথমে দাবি করেছিল, ওই তরুণী তার স্ত্রী। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি সে। বরং তার কথামত, বিয়ের সাক্ষী যারা ছিল সেই অক্ষয়, মেহদি হাসান ও সাদ মালিকই তার কাছে মেয়েটিকে বিক্রি করে।

পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনায় কোনও বড় মানুষ কেনাবেচা চক্রের হাত থাকতে পারে।