নাগপুর: বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। নাগপুরের লতা মঙ্গেশকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে দেশের প্রথম হারলেকুইন বেবি। সহজাত শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মানো মেয়েটির সারা গায়ে প্রায় এক ফোঁটা চামড়া নেই, যেন চামড়ার নীচে থাকা রক্ত, মাংস ও শিরা উপশিরার পিণ্ড। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অবস্থাকে বলে হারলেকুইন ইচথায়োসিস।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিনগত মারাত্মক ত্রুটির কারণে দেখা দেয় এই বিরলতম রোগ। প্রতি তিনলাখ সদ্যোজাতর মধ্যে একজন এই অদ্ভুত রোগের শিকার হয়। এ ধরনের শিশুর গোটা শরীর পুরু সাদা বর্মের মত পট্টিতে ঢাকা থাকে, গভীর ফাটা দাগে ভরা থাকে শরীর। চোখ, কান ইত্যাদি অঙ্গ কুঁচকে যেতে পারে অস্বাভাবিকভাবে। আর চামড়ায় ফাটল থাকায় তাতে ব্যাকটিরিয়া ছড়িয়ে অন্য অসুখ হওয়া বিচিত্র নয়। ফলে জটিল সংক্রমণ হতে পারে।
এই মুহূর্তে শিশুটিকে টানা তত্ত্বাবধানে করে চলেছেন চিকিৎসকরা। পেট্রোলিয়াম জেলি ও নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করা হচ্ছে শরীর। পুষ্টির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তবে তার শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এতরকম শারীরিক অসুবিধে সত্ত্বেও শিশুটির বাবা মা, দাদু, ঠাকুমা কিন্তু এক বাক্যে স্বাগত জানিয়েছেন তাকে। কৃষক পরিবারটি জানিয়েছে, ‘পরমেশ্বরানি যে পান দিলে আমালা, তে আমালা স্বীকার আহে’। মরাঠা এই বাক্যটির অর্থ, ঈশ্বর আমাদের যা দিয়েছেন, তাই গ্রহণ করব আমরা।