নয়াদিল্লি: বিভিন্ন মহল থেকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার জন্য ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করাকেই দায়ী করা হলেও, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই দাবি মানতে নারাজ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল আজ বলেছেন, ২০১৭ সালের অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক কার্যকলাপ নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ফলে আর্থিক বৃদ্ধির জন্য বিমুদ্রাকরণকে দায়ী করা ঠিক নয়। একইসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়েছেন, রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য বলেছেন, এপ্রিল মাসে হঠাৎই অপ্রত্যাশিতভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩ শতাংশ কমে যায়। আগামী কয়েক মাসে অর্থনীতিতে কী হয়, তার দিকে নজর রাখা হবে। আগে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশ থাকবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করলেও, তাঁরা এখন মনে করছেন, ৩.৫ থেকে ৪.৫ শতাংশ হতে পারে মুদ্রাস্ফীতির হার। সুদের হার বদল করার আগে অর্থনীতির অবস্থার বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সুদের হার কমানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করছে সরকার। ১ ও ২ জুন আর্থিক নীতি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিল অর্থ মন্ত্রক। তবে এই কমিটির ৬ সদস্যই বৈঠকে রাজি হননি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আর্থিক নীতি কমিটি নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।