নয়াদিল্লি: সরকারকে দেওয়া রিজার্ভ ব্যঙ্কের বার্ষিক ডিভিডেন্ড এবার প্রায় অর্ধেকেরও বেশি কমে গেল। এরফলে স্বাভাবিকভাবে সরকারের কোষাগারে টান পড়বে। সেইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব ঘাটতিতে রাশ টানার লক্ষ্যেও এর প্রভাব পড়বে।
এবার বার্ষিক ডিভিডেন্ড বাবদ সরকারের  ঘরে ৩০,৬৬০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত পাঁচ বছরের তুলনায় এই পরিমাণ সবচেয়ে কম। গত বছরের তুলনায় এর পরিমাণ প্রায় অর্ধেকেরও কম । গত বছর ডিভিডেন্ড বাবদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দিয়েছিল ৬৫,৮৭৬ কোটি টাকা।
প্রতি বছর জুনে অ্যাকাউন্ট ক্লোজিংয়ের পর ডিভিডেন্ড জমা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
অর্থমন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডিভিডেন্ড এই হ্রাস উদ্বেগের বিষয়।তাঁরা অবশ্য প্রত্যক্ষ কর ও নোটবাতিলের ফলে উদ্বৃত্ত থেকে এই ঘাটতি মেটানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এরজন্য ব্যয়বরাদ্দ ছাঁটাই করতে হবে না বলেও মনে করছেন তাঁরা। এ বিষয়ে অবশ্য অর্থমন্ত্রকের মুখপাত্রের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
২০১৭-১৮ কেন্দ্রীয় বাজেটে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে ৭৪,৯০১ কোটি টাকা ডিভিডেন্ডের হিসেব দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিভিডেন্ড ধরা হয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা।

গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের ঘোষণার পর সরকারের প্রভূত লাভ হবে বলে মনে করা হয়েছিল। প্রায় ১৫.৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের বাতিল নোটের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের নোট আর ব্যাঙ্কে ফিরবে না বলে অনুমান করা হয়েছিল । কিন্তু নির্ধারিত সময় অর্থাত্ গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৯৭ শতাংশ বাতিল নোটই ব্যাঙ্কগুলিতে জমা পড়েছে পড়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের  বক্তব্য, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিভিডেন্ডে এই ঘাটতি হয়ে থাকতে পারে। নোট বাতিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্তে প্রভাব ফেলেছে। যুক্ত হয়েছে নতুন নোট ছাপার খরচও।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই অবস্থায় রাজস্ব ঘাটতিতে নিয়ন্ত্রণ আনার ক্ষেত্রে সরকারকে বিলগ্নিকরণের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে।