ইনদওর:  মহাকাশযাত্রায় ব্যবহারের উপযোগী বিশেষ ধরনের পোশাক তৈরি। সার্ভাইভাল ক্যাপসুলও প্রস্তুত। মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠিয়ে স্পেস স্টেশন তৈরি করতে সবরকম ভাবেই প্রস্তুত ইসরো। এখন শুধু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যে সরকারের তরফে অর্থ সাহায্য এবং নীতিগত কিছু অনুমতির প্রয়োজন। তাহলে স্পেস স্টেশন তৈরি খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এ.এস কিরণ কুমার।

রাজা রামান্না সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড টেকনোলজির ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা সোমবার বলেন ইসরো প্রধান।

যদি সরকার এবং দেশ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাঁরা এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নের জন্যে তৈরি। তবে এরসঙ্গে তিনি একথাও বলতে ভোলেননি, বর্তমান সরকার মনে করে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় এখনই বেশি অর্থ খরচ নিস্প্রয়োজন। দেশের উন্নয়ন এবং বৃদ্ধিতে মহাকাশ বিজ্ঞানের ভূমিকা এখনও তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বর্তমান সরকারের কাছে।

প্রসঙ্গত, ইসরো প্রধান এখনই ভারতের স্পেস স্টেশন তৈরি নিয়ে মন্তব্য করলেন, কারণ গত বুধবারই একসঙ্গে ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে ইসরো সফল উত্‍‍‍ক্ষেপণ করে পিএসএলভি সি-থার্টি সেভেন-এর। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানে রচিত হয় নয়া ইতিহাস। এরপরই ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিন কটাক্ষ করে, ভারত এখনও এবিষয়ে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক পিছনে। স্পেস স্টেশন তৈরির জন্যে তাঁদের কাছে কোনও সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো নেই বলে আক্রমণ করে বেজিং।

চিনকে পাল্টা আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণায় ভারতের এপর্যন্ত সাফল্যও তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেন ইসরো প্রধান।

তাঁর দেওয়া তথ্যের মধ্যে ইসরোর ইদানিংকালের কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি ক্যাপসুল তৈরির কথা জানান তিনি। এই ক্যাপসুলের সাহায্যে মহাকাশে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন মহাকাশচারীরা সেকথা জানান তিনি। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনা যায়, তারজন্যে প্যাড অ্যাবর্ট পরীক্ষা করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এবছর এপ্রিলে ইসরোর পরিকল্পনা রয়েছে জিএসএলভি মার্ক থ্রি-ডি ওয়ান উত্ক্ষেপন করার।